চুল সুন্দর রাখার এই ৫টি উপকারী প্যাক

ঠিকঠাকভাবে চুলের যত্ন নেয়ার সময় হয় না অনেকেরই। এদিকে মানসিক চাপ, ব্যাকটেরিয়ার কারণে সংক্রমণ বা অ্যালার্জি, রক্তাল্পতা, আবহাওয়া, অপুষ্টি এবং দূষিত জল কারণে আমাদের চুল দ্রুতই স্বাভাবিক সৌন্দর্য হারাতে শুরু করে। এমন কয়েকটি ঘরোয়া প্যাক সম্পর্কে জেনে নিন যার মাধ্যমে সারা বছর ব্যবহার করলে চুলের একাধিক সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব-

চুল শুষ্ক আর রুক্ষ হয়ে গেলে ডিম আর দুধের প্যাক অত্যন্ত উপকারী। ২টি ডিমের কুসুমের সঙ্গে ১ কাপ কাঁচা দুধ, ২ চামচ অলিভ অয়েল আর ২ চামচ পাতিলেবুর রস মিশিয়ে নিন। এই প্যাক মাথায় ভালো করে মাখিয়ে রেখে দিন। মিনিট পনেরো পর হালকা গরম জলে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ২ বার এই প্যাক ব্যবহার করলে চুলের শুষ্ক আর রুক্ষভাব কেটে যাবে। চুল ঝরার সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

চুলের স্বাস্থ্য ধরে রাখতে ওটস, নারিকেলের দুধ আর মধু মিশিয়ে চুলে মাখতে পারেন। এর জন্য ১ চামচ ওটসের সঙ্গে ২ চামচ মধু আর ১ কাপ কাঁচা দুধ মিশিয়ে নিন। এই প্যাক চুলের গোড়ায় ২০-২৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে উষ্ণ জলে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। উপকার পাবেন।

রুক্ষ চুল আর অতিরিক্ত চুল ঝরার সমস্যায় কলা, মধু আর নারিকেল তেলের প্যাক ব্যবহার করে দেখতে পারেন। একটা গোটা পাকা কলা চটকে তার সঙ্গে ২ চামচ মধু, ১ কাপ কাঁচা দুধ আর ২ চামচ নারিকেল তেল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এই প্যাক চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত ভালো করে মেখে ৩০ মিনিটের মতো রেখে দিন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ২-৩ বার এই প্যাক ব্যবহার করে দেখুন। ফল পাবেন হাতেনাতে।

চুল যদি তেলচিটে হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে ২-৩টি ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে ১ কাপ দুধ আর ১ কাপ টক দই মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। এই প্যাক মাথায় মেখে ৩০ মিনিটের মতো রেখে দিন। এর পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ২-৩ বার এই প্যাক ব্যবহার করে দেখুন। উপকার মিলবে।

চুল শুষ্ক আর রুক্ষ হয়ে গেলে ডিম আর টক দইয়ের প্যাক অত্যন্ত উপকারী। এর জন্য ২-৩টি ডিমের কুসুমের সঙ্গে আধা কাপ টক দই মিশিয়ে নিন। ভালো করে ফেটিয়ে এই প্যাক চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত ভালো করে মাখিয়ে রাখুন। মিনিট পনেরো পর হালকা গরম জলে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ২ বার এই প্যাক ব্যবহার করলে চুলের শুষ্ক আর রুক্ষভাব কেটে যাবে। চুল ঝরার সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।