মেকআপের ক্ষেত্রে আইশ্যাডো বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তাইতো সব তরুণীর কাছে আইশ্যাডো প্যালেট থাকেই। কিন্তু প্রতিদিন নিশ্চয়ই আইশ্যাডো পরার সুযোগ আসে না! দাম দিয়ে কেনা আইশ্যাডো প্যালেটটি পড়ে থাকে এক কোণে। তাতে পুরো টাকাটাই নষ্ট।
কিন্তু আপনার কাছে যদি একটি আইশ্যাডো প্যালেট থাকে, তাহলে বেঁচে যাবে মেকআপ কেনার পুরো টাকাটাই। আর আইশ্যাডোও পড়ে পড়ে নষ্ট হবে না। শুধু চোখের পাতায়ই নয়, এটি ব্যবহার করা যায় আরও অনেকভাবে। চলুন জেনে নেয়া যাক-
আইব্রো: হাতের কাছে ব্রো পেনসিল না থাকলে কাজে লাগান আপনার আইশ্যাডো প্যালেট। কোনাচে ব্রাশ দিয়ে ম্যাট ব্রাউন শেডের আইশ্যাডো নিয়ে বুলিয়ে নিন ভুরুতে। আঙুল দিয়ে সুন্দর করে ব্লেন্ড করে দিন।
কনট্যুরিং: হাতের কাছে দারুণ একটা আইশ্যাডো প্যালেট থাকলে ব্রোঞ্জার কেনার আর দরকার নেই। গায়ের রঙের চেয়ে দু’ থেকে তিন শেড গাঢ় আইশ্যাডোর শেড বেছে নিন, তারপর ব্রাশ দিয়ে চিকবোন আর চোয়ালের হাড়ের নিচে লাগিয়ে কনট্যুর করে নিন মুখ।
হাইলাইটার: আপনার আইব্রো প্যালেটে যদি রোজ-গোল্ড শেডের শ্যাডো থাকে, তাহলে সেটা দিয়েই হাইলাইট করে নিন মুখ। গালের হাড়, নাকের উপরে, ভুরুর নিচে, উপরের ঠোঁটের খাঁজে, চোখের ভিতরের কোণে ছুঁইয়ে নিন আপনার আইশ্যাডো কাম হাইলাইটার।
লিপস্টিক: আইশ্যাডো প্যালেটের নানান রং মিলিয়ে মিশিয়ে তৈরি করে নিন নতুন লিপস্টিক। প্রথমে ঠোঁটে অল্প কনসিলার লাগিয়ে বেস তৈরি করুন, তারপর পছন্দসই আইশ্যাডোর শেড ব্রাশে নিয়ে বুলিয়ে নিন ঠোঁটে। ম্যাট ফিনিশ চাইলে এর উপর সামান্য ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার ডাস্ট করে দিন আর গ্লসি লুক চাইলে বুলিয়ে নিন ক্লিয়ার লিপ বাম।
আইলাইনার: হাতের কাছে নানা রঙের আইশ্যাডো প্যালেট থাকলে একাধিক রঙিন আইলাইনার দরকার নেই। কোনাচে ব্রাশে অল্প আইশ্যাডো নিয়ে উপরের ল্যাশলাইন ঘেঁষে রেখা এঁকে নিন। ব্রাশ সামান্য ভিজিয়ে নিলে গাঢ় রং পাবেন।