নতুন বছরে শরীর ভালো রাখবেন যেভাবে

সুন্দরভাবে জীবনযাপনের জন্য সবার আগে জরুরি হলো সুস্থতা। শরীর সুস্থ থাকলে সবকিছুই ভালোলাগে। আবার শরীর যখন অসুস্থ হয়, তখন ভালো কিছুও যেন আর ভালোলাগে না। শরীর সুস্থ রাখার জন্য ডায়েট মেনে চলার চেষ্টা করেন অনেকে। কিন্তু তাতে করে দেখা যায় দিনশেষে ক্লান্তিবোধ জেঁকে ধরে। অনেক সময় ভুলভাল ডায়েটের কারণে শরীর ঠিকভাবে পুষ্টি পায় না। ডায়েট হলো সুস্বাস্থ্যের জন্য। তাই সঠিকভাবে ডায়েট চার্ট ফলো করতে হবে।

খাবারের তালিকা ঠিক করার আগে নজর দিন আপনার বয়স এবং প্রতিদিন কতটুকু পরিশ্রম করেন তার উপর। কারণ গ্রহণকৃত ক্যালরি যদি খরচ না হয় তখন তা আপনার শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। আগে থেকে খাবারের তালিকা ঠিক করা থাকলে যখন তখন খাই খাই অভ্যাস অনেকটাই কমে আসবে। অফিসে কাজের যতই চাপ থাকুক, চেষ্টা করুন সময়মতো খাবার খাওয়ার। হাতের কাছে যা পান তা খেয়ে নেয়ার অভ্যাস বন্ধ করুন। বাইরের খাবার, ফাস্টফুড, কোমল পানীয় এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। খাদ্য গ্রহণ সঠিক থাকলে আপনি সহজেই সুস্থ থাকবেন।

সুস্থতা ও শারীরিক বৃদ্ধির জন্য ডায়েট তালিকায় কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল ও ফ্যাট থাকা খুবই জরুরি। দিনের শুরুটা হোক একগ্লাস দুধ দিয়ে। তার একঘণ্টা পর একটি কলা খাওয়া যেতে পারে। তবে বাইরে বের হওয়ার আগে নাস্তা করাটা বাঞ্ছনীয়। সেক্ষেত্রে দুই টুকরো হোল হুইট টোস্ট ও ডিম খাওয়া যেতে পারে। রুচি বদলাতে হালুয়াও চলতে পারে। বাইরে যাওয়ার আগে ঘরের তৈরি খাবার সঙ্গে নেওয়া ভালো। এতে করে জাঙ্ক ফুড এড়ানো সম্ভব হয়।

দুপুরের খাবারে ভাতের বদলে রুটি খেতে পারেন। এর সঙ্গে সবজি, সালাদ, মাংস বা মাছ রাখুন। তবে এমন নয় যে দুপুরে ভাত খেতেই পারবেন না। ভাত আবার বেশি খেয়ে ফেলবেন না যেন! ভাত-রুটি যাই খান, পরিমান যেন অতিরিক্ত না হয়।

বিকেলে নাস্তা হিসেবে হালকা কিছু খেতে পারেন। এতে দুপুর আর রাতের খাবারের ভেতর খুব বেশি গ্যাপ পড়বে না। বিকেলে এক স্লাইস চিজ খেতে পারেন। আবার একগ্লাস সয়া মিল্কও যোগ হতে পারে আপনার তালিকায়। সন্ধ্যায় ঘরে বানানো খাবার খেতে পারেন। ফলমূলও খেতে পারেন।

রাতের খাবার তাড়াতাড়ি খাওয়া উচিত। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে সেরে নিতে পারেন ডিনার। রুটির পাশাপাশি ভাতও খেতে পারেন। সঠিক সময়ে ঘুমও বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। রাত জাগবেন না।

শুধু খাদ্যাভ্যাসে রাশ টানলেই হবে না। ডায়েটের সাথে তাল মিলিয়ে ব্যায়ামও করতে হবে। বয়ঃসন্ধির সময়েই শরীরের হাড় অর্ধেক গঠিত হয়ে যায়। ব্যায়ামে লিন ওয়েট বাড়বে। লিন ওয়েটর উপর মেদ ঝরার প্রক্রিয়া নির্ভর করে।

ক্লান্ত হয়ে পড়লে বিশ্রাম করার পরামর্শ দেন অনেকেই। তবে আর তা করবেন না। বরং একটু ব্যায়াম করে নিন। দেখবেন ক্লান্তি ভাবটা পালিয়ে যাবে। শারীরিক কসরতের ফলে ফিরে পাবেন এনার্জি। মাত্র আধ ঘণ্টার হাল্কা ব্যায়ামই যথেষ্ট। তাতেই দূর হবে ক্লান্তি

পুরো সপ্তাহ নিয়মমতো খাবার খান। ছুটির দিন রাতে নিজের পছন্দের মেন্যু বেছে নিন। এই তালিকা তৈরি করে চোখে পড়ে এমন জায়গায় রাখুন। আর বাড়তি খাওয়ার আগে একবার তালিকাটির দিকে দেখে নিন। নিজেকে ভালোবাসুন, পরিমিত খেয়ে সুস্থ থাকুন।