বছরের অন্য সময়ের রূপচর্চার সঙ্গে এই সময়ের রূপচর্চার পার্থক্য অনেকটাই। গরমের সময়টাতে আমরা মুখের তেল নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করি তাই ফেসমাস্কের উপাদানও থাকে আলাদা। আবার শীতের দিনে শুষ্কতা বেড়ে যাওয়ার কারণে বদলে যায় ফেসমাস্কের উপাদান। এই সময়ে এমন উপাদান বেছে নিন যার মধ্যে ফ্যাট আছে, সেই সঙ্গে আবার অতিরিক্ত ফ্যাটের কারণে যেন ব্রণ না জন্মায় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দুই বা তিনটি উপাদান মিশিয়ে প্যাক তৈরি করার পরামর্শ দেওয়া হয় আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্যই।
কলা ও মধু: পাকা কলার শাঁস আর মধুর মিশ্রণ একাধারে আর্দ্রতা জোগায়, তুলে দেয় যাবতীয় মৃত কোষও। গোসলের আগে পুরো শরীরে লাগিয়ে নিন। একটু শুকিয়ে এলে তুলে ফেলে হালকা গরম জলে ধুয়ে নেবেন। তোয়ালে দিয়ে আলতো হাতে মুছে ময়েশ্চরাইজার লাগিয়ে নিন।
দুধের সর ও মধু: ফুল ফ্যাট দুধের সর এ পৃথিবীর অন্যতম সেরা ময়েশ্চরাইজার হিসেবে গণ্য হতে পারে, তাই যাদের ত্বক শীতের দিনে খুব শুকনো হয়ে যায় তারা এর উপর ভরসা রাখতে পারেন নিশ্চিন্তে। এই দু’টি উপাদান মিশিয়ে মুখে আর গলায় ভালো করে লাগিয়ে মিনিট ১৫ অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহার করা যায়।
পাকা পেঁপে ও দুধ: এক্ষেত্রেও আপনার লাগবে ম্যাশ করা পাকা পেঁপে আর ফুল ফ্যাট দুধের মিশ্রণ। সঙ্গে সামান্য চিনি মিশিয়ে নিলে স্ক্রাবারের কাজও হয়ে যাবে। মিশ্রণটা পুরো শরীরে লাগিয়ে রাখুন। টেনে গেলে চক্রাকারে হাত ঘুরিয়ে প্যাকটা তুলে গোসল সেরে নিন। পেঁপের মিনারেল আর পুষ্টিগুণ এবং দুধের ভিটামিন ই বজায় রাখবে ত্বকের উজ্জ্বলতা। চাইলে এর মধ্যে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ফুটো করে তার নির্যাসটাও মিশিয়ে নিতে পারেন।
গাজর ও মধু: শসা নয়, এই ঋতুতে গাজর কুরিয়ে নিন, তারপর মধুর সঙ্গে মিশিয়ে তা ব্যবহার করুন। বিটা ক্যারোটিনের প্রভাবে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
অ্যালোভেরা ও নারিকেল তেল: গরমকালে ত্বক মুহূর্তে তরতাজা করে তোলার জন্য অ্যালোভেরার প্যাকের সাথে এক্সট্রা ভার্জিন নারিকেল তেল মিশিয়ে ব্যবহার করুন। ত্বক ভালো থাকবে।