ব্রণ দূর করতে নানারকম রূপচর্চা করে থাকেন ভুক্তভোগীরা। কিন্তু এক্সেত্রে রূপচর্চাই শেষ কথা নয়। এমনও হতে পারে আপনার দৈনন্দিন সাজের সরঞ্জামেই লুকিয়ে আছে ব্রণের কারণ। তাই ব্রণের সমস্যা হলে অবশ্যই নজর দিতে হবে আপনার সাজগোজের তালিকার দিকে-
মুখে বেশি কিছু ব্যবহার নয়: খুব ব্রণ বের হতে শুরু করলে একদিকে তা কমানোর চেষ্টার পাশাপাশি মুখে একগাদা প্রডাক্ট মাখার অভ্যাসও বন্ধ করতে হবে। ময়শ্চারাইজার বা ফেস সিরাম খুব বেছে ব্যবহার করুন, প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ভারী ক্রিম বা লোশন, চড়া মেকআপ একদম চলবে না। ত্বককে সুস্থ হতে দিন।
ব্র্যান্ডের প্রসাধনী কিনুন: ক্রিম বা ময়শ্চারাইজার কেনার আগে লেবেলে লেখা উপাদানের তালিকায় চোখ বুলিয়ে নিন। স্যালিসাইলিক অ্যাসিড যুক্ত স্কিন ক্রিম ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। লাইপোহাইড্রক্সি (এলএইচএ) অ্যাসিডও এ ব্যাপারে খুবই কাজের। এলএইচএ রোমছিদ্রের আকার সঙ্কুচিত করে, ব্যাকটেরিয়ার বাড়বৃদ্ধি কমায় এবং আপনার ত্বক আরও মসৃণ করে তোলে।
মেকআপে সতর্ক হোন: ব্রণের কালচে ছোপ ঢাকতে পুরু ফাউন্ডেশন বা কনসিলারের শরণাপন্ন হন অনেকে। তাতে দাগ ঢাকলেও মূল সমস্যাটা প্রকট হয়ে ওঠে। পুরু প্রাইমার, ফাউন্ডেশন বা কনসিলার রোমছিদ্র বন্ধ করে দেয়, ফলে আরও বেশি করে ব্রণ বের হয়। এই সমস্যা এড়াতে হালকা মেকআপ করুন, বেছে নিন অয়েল ফ্রি, নন কমেডোজেনিক প্রডাক্ট।
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন: সারাবছরই যদি কম-বেশি ব্রণ হতেই থাকে তাহলে সচেতন হোন। এর পেছনে কোনো শারীরিক কারণও থাকতে পারে। অনেক সময় চিবুকে বা চোয়ালে ব্রণ হলে তা হরমোনের সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। মানসিক চাপ, জিনগত কারণেও ব্রণ হতে পারে। তাই একটানা অনেকদিন ব্রণের সমস্যায় ভুগলে দেরি না করে ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।