ভাতের মাড় আর কী কাজে লাগে! এমন ভাবনা থেকেই আমরা মাড়টুকু ঝড়িয়ে ঝরঝরে ভাত খেতে ভালোবাসি। এদিকে ফেলে দেয়া ভাতের মাড়ই যে আমাদের ত্বক আর চুল সুন্দর করতে ভূমিকা রাখতে পারে, তা অনেকেরই জানা নেই। ভাতের মাড় ঝরিয়ে ফেলে না দিয়ে সেটিকে কাজে লাগাতে পারেন নানা উপায়ে। ত্বক থেকে চুলের যত্নে কাজে লাগিয়ে দেখুন ভাতের মাড়। ফল মিলবে দ্রুত। চলুন জেনে নেওয়া যাক দৈনন্দিনের নানা কাজে ভাতের মাড়ের আশ্চর্য সব ব্যবহার-
ত্বকের সুরক্ষায়: গোসলের জলে ভাতের মাড় মিশিয়ে দিনে অন্তত ২ বার গোসল করতে পারলে ত্বকের অস্বস্তিকর জ্বালা ভাব, চুলকানি, র্যাশ থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
ব্রণের সমস্যায়: ব্রণের সমস্যা দূর করতে মাতের মাড় ঠান্ডা করে তুলো দিয়ে ত্বকের ব্রণ আক্রান্ত অংশে লাগান। দিনে অন্তত ২-৩ বার এই ভাবে ত্বকের যত্ন নিতে পারলে ব্রণ-ফুসকুড়ির মতো সমস্যা দ্রুত সেরে যাবে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে: মাতের মাড় ঠান্ডা করে তুলো দিয়ে মুখের ও হাত-পায়ের রোদে পোড়া অংশে নিয়মিত মাখতে পারলে বাড়বে ত্বকের উজ্জ্বলতা। এই পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন নিতে পারলে ত্বক থাকবে সতেজ, বজায় থাকবে ত্বকের আর্দ্রতা।
বয়সের ছাপ ঠেকাতে: ত্বকের হাইপার পিগমেন্টেশন আর ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া ঠেকাতে ভাতের মাড় অত্যন্ত কার্যকরী।
চুল সুন্দর রাখতে: ভাতের মাড়ে জল মিশিয়ে খানিকটা পাতলা করে নিন। শ্যাম্পু করার পর চুলে ভাতের মাড় দিয়ে মিনিট তিনেক রেখে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার মতো সমস্যার মোকাবিলায় এই পদ্ধতি খুবই কার্যকরী। এছাড়া চুল গোড়া থেকে মজবুত করতে আর চকচকে করতে সাহায্য করে এই পদ্ধতি।
শরীরে পুষ্টি যোগায়: ত্বকে ব্যবহারের পাশাপাশি ভাতের মাড় খেতেও পারেন। কারণ এটি আমাদের শরীরের অপুষ্টিজনিত সমস্যার মোকাবিলায় খুবই উপকারী।