চুল পড়ার সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে। আমাদের চুল পড়ার অন্যতম কারণ হলো ভুল খাদ্যাভ্যাস। আমরা না বুঝেই এমনসব খাবার খাই যা চুলের পক্ষে ক্ষতিকর। চুলের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি শরীরে না পৌঁছালে চুল পড়ে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। তাই এমনকিছু খাবার খাওয়া উচিত যা আমাদের চুলের স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। চলুন জেনে নেয়া যাক-
চুল পড়া বন্ধ করতে খাদ্যতালিকায় রাখুন ডিম। ডিম প্রাকৃতিক প্রোটিনের অন্যতম সেরা উৎস। ডিম ভিটামিন বি১২, জিংক, আয়রন, প্রোটিন, বায়োটিন এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিডের সবচেয়ে ভালো উৎস যা চুলের জন্য বিশেষভাবে জরুরি। এছাড়া প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যাতে প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার থাকে সেদিকেও মনোযোগ দিতে হবে।
বাদাম, ফ্লাক্স সীড, আখরোট, তিল প্রভৃতিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। যা চুলের ভেঙে যাওয়া প্রতিরোধ করে।
মাছ হলো ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ একটি খাদ্য। ওমেগা৩ ফ্যাটি এসিড চুলের গোঁড়া মজবুত করতে সহায়তা করে এবং চুল পড়া রোধ করে। তাই সপ্তাহে অন্তত তিনদিন খাদ্যতালিকায় মাছ রাখার চেষ্টা করুন।
আয়রনের অভাবে অনেক সময় চুল পড়ে যায়। যখন শরীরে আয়রনের ঘাটতি হয় তখন চুলের গোড়ায় পুষ্টির অভাব হয়, চুলের গোড়া আলগা হয়ে চুল পড়া শুরু হয়। তাই আয়রনের ঘাটতি পূরণে নিয়মিত সবুজ শাক-সবজি খান। সবুজ শাকে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা চুলের গোঁড়া মজবুত করে, মাথার ত্বক ভালো রাখে।
নিয়মিত লেবুর রসের শরবত খেলে তা চুল পড়া রোধে দারুণ কার্যকরী হবে। কমলায়ও প্রচুর ভিটামিন সি পাওয়া যায়।
গাজরে প্রচুর ভিটামিন এ থাকে যা চুলের ফলিকলকে মজবুত করে এবং চুলকে পাতলা হয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। পাতলা চুলের পড়ে যাওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। তাই চুল পড়া রোধে নিয়মিত গাজর খান।
দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবারে প্রোটিনের পাশাপাশি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা চুলের বেড়ে উঠা এবং নতুন চুল গজানোর জন্য সবচাইতে জরুরি। তাই চুলের সুস্থতা চাইলে প্রতিদিন দুধ পান করুন।