চুলের যত্নে শুধু ভালো মানের শ্যাম্পুই যথেষ্ট নয়, ব্যবহার করতে হয় কন্ডিশনারও। কন্ডিশনার চুলের পি এইচ ব্যাল্যান্সকে ঠিক রাখে। চুলকে নরম ও উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। তবে বাইরে থেকে না কিনে যদি ঘরেই তৈরি করে নিতে পারেন, সেটি হবে বেশি কার্যকর। রান্নাঘরের খুব সহজ কিছু উপাদান আপনার চুলকে অসাধারণ কন্ডিশনিং করতে পারে। চলুন জেনে নেয়া যাক-
দই ও ডিমের কন্ডিশনার
ড্যামেজ চুলে এই কন্ডিশনার অসাধারণ কাজ করবে। এটা চুলের পি এইচ ব্যাল্যান্সকে ঠিক রাখবে। চুলকে দেবে একটা এক্সট্রা সাইন।
একটি ডিম সাদা অংশ ও ৫ চামচ টক দই নিন। ভালো করে ফেটিয়ে নিন ডিমের সাদা অংশ। এবার এতে দই মেশান। ভালো করে মেশান যাতে একটা স্মুদ মিশ্রণ তৈরি হয়। এটা চুলে হালকা ম্যাসাজ করে করে লাগান। শ্যাম্পু করার ঠিক ১৫ মিনিট আগে এই কন্ডিশনার লাগান। ১৫ মিনিট পর চুল ধুয়ে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে দুদিন করুন টানা একমাস। নিজের চুল দেখে নিজেই মুগ্ধ হবেন!
ডিম ও অলিভ অলিভ অয়েল
এই কন্ডিশনার চুলকে কন্ডিশনিং তো করবেই সাথে, চুলের ময়েশ্চারকেও ধরে রাখবে। চুলকে সাইনি রাখতে সাহায্য করবে।
একটি ডিমের কুসুম, ২ চামচ অলিভ অয়েল ও কিছুটা জল নিন। ডিমের কুসুম ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এবার দিন অলিভ অয়েল ও অল্প একটু জল দিন। ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার এই স্মুদ মিশ্রণটা পুরো চুলে লাগান।
গোসলের আধঘণ্টা আগে এই মিশ্রণটা লাগান তারপর কোনো মাইলড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। তবে গরম জল চুলে ব্যবহার করবেন না। চুল তার হারানো উজ্জ্বলতা ফিরে পাবে।
নারিকেল তেল ও মধুর কন্ডিশনার
নারিকেল তেল হলো অসাধারণ কন্ডিশনার। এতে আছে ভিটামিন ও ফ্যাটি অ্যাসিড। যেটা চুলকে ভেতর থেকে নারিশ ও কন্ডিশন করে।
২ চামচ নারিকেল তেল ও ১ চামচ মধু নিন। এবার নারিকেল তেল গলিয়ে নিন। এতে মধু মেশান। তারপর এই মিশ্রণ পুরো চুলে ভালো করে লাগান। ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। চুল সুন্দর হবে।