সুস্বাস্থ্যের জন্য ডিমের প্রতি নির্ভরশীল থাকেন অনেকেই। শরীরে পুষ্টি জোগানোর পাশাপাশি রূপচর্চার কাজেও উপকারী এই ডিম। ডিমের সাদা অংশে থাকা ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান ত্বকের পরিচর্যায় খুবই উপকারী। তৈলাক্ত ত্বক, মুখের অবাঞ্ছিত লোম বা ব্রণ-ফুসকুড়ির সমস্যায় আর পার্লারে ছুটতে হবে না। জেনে নিন মুখের ত্বকের কোন সমস্যায় কীভাবে ডিম কাজে লাগাতে পারেন-
তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ-ফুসকুড়ি, ব্ল্যাক হেডস, কালচে ছোপ ইত্যাদি নানা সমস্যা হতে পারে। ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করলে অত্যধিক তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। প্রথমে হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এবার ডিমের সাদা অংশ পাতলা করে মুখে প্রলেপ দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এবার ওই প্রলেপ শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মুখ মোছার জন্য একটি নরম তোয়ালে ব্যবহার করুন। তবে বেশি ঘষে মুখ মুছবেন না।
মুখের ত্বকের অতিরিক্ত লোম দূর করতে ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করেও মুখের ক্ষুদ্র অবাঞ্ছিত লোম দূর করা সম্ভব। সাধারণত গাল, কপাল বা ঠোঁটের উপরের অংশে অবাঞ্ছিত লোমের আধিক্য দেখা যায়। প্রথমে একটি ব্রাশ দিয়ে ডিমের সাদা অংশ পাতলা করে মুখে মেখে নিন। শুকিয়ে গেলে আরও একবার মাখুন। এই ভাবে ২-৩ বার করে ডিমের সাদা অংশ মেখে মাস্ক তৈরি করে কিছুক্ষণ রেখে দিন। ওই প্রলেপ সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে, শুকনো চামড়ার মতো করে টেনে তুলে ফেলুন। দেখবেন মুখের অবাঞ্ছিত লোম আর নেই।
তৈলাক্ত ধুলো-ময়লা জমে ব্রণ-ফুসকুড়ি সৃষ্ট হতে পারে। ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করলে ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব মুহূর্তেই দূর হবে। তাই ব্রণ-ফুসকুড়ির সমস্যার মোকাবিলায় ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করা যেতে পারে। ব্রণ আক্রান্ত অংশগুলিতে ডিমের সাদা অংশের প্রলেপ লাগিয়ে দিন। পরিষ্কার আঙুলের ডগা দিয়ে আলতো ভাবে ব্রণ আক্রান্ত অংশগুলিতে ডিমের সাদা অংশের প্রলেপ লাগান। দ্রুত ভালো ফল পেতে এর সঙ্গে টকদই, দারুচিনির গুঁড়া বা হলুদ যোগ করতে পারেন।