এই সময়ে ময়েশ্চারাইজারের গুরুত্ব কেউ বুঝুক আর নাই বুঝুক, গোসলের পর ভালো কোনো ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার লাগানোর অভ্যাস যাদের আছে, তারা সবাই জানেন এর গুরুত্ব ঠিক কতটা।
এখনই হয়তো স্টকে থাকা ক্রিম ফুরাবে না, বা দোকানেও মিলতে পারে। কিন্তু পরবর্তীকালে কী হতে চলেছে, তা আমরা কেউ জানি না। এই অবস্থায় হাতের কাছে কয়েকটা জিনিসপত্র রাখলে আপনার জোগান কখনওই ফুরোবে না।
তার জন্য ঠিক কী কী লাগবে জানতে চান? প্রথমেই বুঝে নিন, ময়েশ্চারাইজার হলো তেল আর জলর সঠিক মিশ্রণ। গ্রেপসিড বা আমন্ড তেল আর গোলাপজলের কম্বো আপনার ময়েশ্চারাইজারের ভালো বেস হতে পারে। আর লাগবে ভেজিটেবিল গ্লিসারিন এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল। সেই সঙ্গে প্রয়োজন খানিকটা মোম।
একটি পরিষ্কার স্টিলের পাত্রে আধা কাপ তেল, এক চামচ মোম, দু’ চামচ গ্লিসারিন দিয়ে একেবারে অল্প আঁচে গরম করুন। অন্য একটি স্টিলের পাত্রে গরম করে নিন গোলাপ জল। দুটোকে ঘরের তাপমাত্রায় আসতে দিন।
খুব ভালো করে হুইস্ক দিয়ে ঘেঁটে মিশিয়ে দিন একসঙ্গে। বিশেষ কোনো সুগন্ধি চাইলে এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল আর ভিটামিন ই ক্যাপসুল মেশালেই আপনার ময়েশ্চারাইজার তৈরি! ঘরে তৈরি ময়েশ্চারাইজারে প্রিজারভেটিভ না থাকায় বেশিদিন ভালো থাকবে না। তাই কম করে বানান এবং পরিষ্কার কাচের বোতলে ভরে রাখুন।