দ্রুত রান্না করার সহজ ৭টি বিশেষ উপায়

খাবার রান্না করতে গিয়ে অনেক বেশি সময় রান্নাঘরে কাটিয়ে ফেলেন বেশিরভাগ মানুষ। কিন্তু কিছু কৌশল জেনে নিলে অল্প সময় ব্যয় করেই খাবার তৈরি করা সম্ভব। আবার চুলার কাছে দীর্ঘ সময় থাকার কারণে যে একঘেয়েমি বা বিরক্তি চলে আসে তা-ও এড়ানো সম্ভব। বেঁচে যাওয়া সময়টা নিজের মতো করে কাটাতে বা অন্য কোনো কাজেও ব্যয় করা যায়। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক রান্না দ্রুত করার সাতটি উপায়-

খাবার রান্না করার পুরো প্রক্রিয়াকে তিন ভাগে ভাগ করে নিন। প্রথমটা প্রস্তুতি, এরপর তৈরি করে নেয়া এবং শেষে ফিনিশিং পর্ব। ফলে খাবার তৈরির প্রক্রিয়াকে আর একঘেয়ে লাগবে না। তাড়াহুড়ো না করে ঠান্ডা মাথায় কাজ করার কারণে রান্নাও ভালো হবে।

অনেকেই চুলায় হাঁড়ি চাপিয়ে তাতে সব উপকরণ বসিয়ে দেন। কিন্তু যদি চান পাত্রে খাবার না লেগে থাকুক তবে যে পাত্রে রান্না করবেন সেটা খুব ভালো করে গরম করে নিন। ফলে রান্নার সময় খাবার পাত্রের গায়ে লেগে থাকবে না।

কাটাকুটি ছুড়ি বা বটি যেন ধারালো হয়, সেদিকে নজর রাখবেন। কারণ এতে আপনার কাটাকুটির কাজ অনেকটাই সহজ হবে, সময় কম লাগবে।

কোন রান্নায় কতটুকু লবণ বা মরিচ দেবেন তা বুঝতে না পারলে কম করে দিন। পরে স্বাদ বুঝে বাড়িয়ে দেয়া যাবে দরকার হলে। আগেভাগে বেশি দিয়ে ফেললে পরে অতিরিক্ত হলে স্বাদ নষ্ট হবে।

যেসব কাজ আগে থেকেই গুছিয়ে রাখা সম্ভব, তা গুছিয়ে রাখুন। মশলা বাটা বা গুঁড়া করার কাজ, সবজি বা মাছ-মাংস কাটাকুটির কাজ আগেই সেরে রাখতে পারেন। এতে পরে রান্না করা অনেকটা সহজ হয়।

ফ্রিজে খাবার রাখার সময় স্বাস্থ্যকর উপায় মেনে চলুন। যেমন-তেমন ভাবে ফেলে রাখবেন না। ভালোভাবে প্যাকেটিং করুন, যেগুলো ঢাকা দরকার তা ঢেকে রাখুন। একটি খাবারের গন্ধ যেন আরেকটিতে না মিশে যায়।

খাওয়ার পরে বাসন-পত্র জমিয়ে রাখবেন না। যত দ্রুত সম্ভব সেগুলো ধুয়ে নিন। নয়তো সেখানে জীবাণু জন্মাতে পারে। আবার একসঙ্গে অনেক বাসন-পত্র ধুতেও বিরক্তি লাগতে পারে।