চুলের জন্য উপকারী যেসব তেল জেনেনিন বিস্তারিত

চুলের যত্নে তেল সবচেয়ে উপকারী সেকথা আমরা সবাই জানি। কিন্তু কোন তেলগুলো সবচেয়ে বেশি উপকারী, কোন তেল ব্যবহার করলে চুলের কী উপকারে আসবে তা অনেকেই জানেন না। চুলের যত্নে বেশিরভাগ তেলই কম-বেশি উপকারী হলেও এই তেলগুলো সবচেয়ে বেশি কার্যকরী-

নারিকেল তেল: নারিকেল তেল স্বাভাবিকভাবেই ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক প্রতিরোধী এবং স্ক্যাল্প কোমল রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, ভার্জিন কোকোনাট অয়েল থেকে কোনোরকম প্রদাহ হয় না। ফলে চুল ওঠার সমস্যা থাকলে এই তেলই সবচেয়ে ভালো। নারিকেল তেল ময়শ্চারাইজার হিসেবও খুব ভালো এবং চুলের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সাহায্য করে৷

আমন্ড অয়েল: এই তেলটি হালকা ও একেবারেই চটচটে নয়। ভিটামিন ই-র গুণে ভরপুর এই তেলটি চুলে পুষ্টি জোগায়, চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং চুল মজবুত ও ঝলমলে করে তোলে। আমন্ড অয়েল স্ক্যাল্পেও পুষ্টি জোগায় এবং খুসকি কমাতে সাহায্য করে।

অলিভ অয়েল: এই তেলটিতে পর্যাপ্ত এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা স্ক্যাল্পকে পুনরুজ্জীবিত করে, চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগায়, এবং চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এই হেয়ার অয়েলটিতে পর্যাপ্ত ময়শ্চারাইজার রয়েছে এবং এটি ভিটামিন ই-তে ভরপুর যা চুলের বৃদ্ধির জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। এই তেলে ওলেইক অ্যাসিড রয়েছে যা খুব সহজেই চুলের গভীরে প্রবেশ করে আর্দ্রতা ধরে রাখে।

ক্যাস্টর অয়েল: যারা অত্যধিক চুল ওঠার শিকার, তাদের শরীরে সাধারণত প্রস্টাগ্ল্যান্ডিন বা পিজিডি২ হরমোনের আধিক্য থাকে। গবেষণা বলছে, ক্যাস্টর অয়েলে উপস্থিত একটি উপাদান দিয়ে এই হরমোনটিকে দমন করা যায়, ফলে চুল পড়া বন্ধ হয়ে চুলের বৃদ্ধি ভালো হতে শুরু করে।

তিলের তেল: বহু আয়ুর্বেদিক ওষুধে বেস অয়েল হিসেবে তিলের তেল ব্যবহার করা হয়। তিলের তেল চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং স্ক্যাল্পের সংক্রমণ কমায়। চুল কন্ডিশনিং করতে, স্ক্যাল্পে পুষ্টির জোগান দিতে এবং খুসকি কমানোর জন্য হট অয়েল ট্রিটমেন্টে হামেশাই ব্যবহার করা হয় তিলের তেল।