মসুর ডালে রয়েছে প্রোটিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, কার্বোহাইড্রেড, ডায়াটারি ফাইবার, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন এ, সি, ই, কে এবং থিয়েমিন। যা নানাভাবে আমাদের শরীরের উপকারে লেগে থাকে। এটি ত্বকের ক্ষতিকর উপাদানদের বের করে দিয়ে ত্বককে সুন্দর করে তোলে। নিয়মিত মসুর ডাল দিয়ে তৈরি নানারকম ফেসমাস্ক ব্যবহার করলে ত্বকে প্রোটিনের ঘাটতি দূর হয়।
৫০ গ্রাম মসুর ডাল সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে উঠে জলটা ছেঁকে নিয়ে ডালটা বেটে নিন। এরপর ডালের পেস্টটির সঙ্গে ১ চামচ কাঁচা দুধ এবং পরিমাণমতো বাদাম তেল মিশিয়ে নিন। এবার পেস্টটি ভালো করে মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। হালকা গরম জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বক উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে।
এক চামচ বাটা মসুর ডালের সঙ্গে ২ চামচ দুধ, অল্প পরিমাণে হলুদ এবং ৩ ফোঁটা নারিকেল তেল মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এরপর মিশ্রণটি সারা মুখে লাগিয়ে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। সময় হয়ে গেলে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের মলিনভাব সহজেই দূর হবে।
যাদের মুখে অবাঞ্ছিত লোমের পরিমাণ বেশি থাকে তারা এমন সমস্যা থেকে নিস্তার পেতে ১ চামচ মসুর ডালের পেস্টের সঙ্গে ১ চামচ চালের গুঁড়া মিশিয়ে একটি পেস্ট বানিয়ে নিন। সঙ্গে যোগ করতে হবে ১ চামচ দুধ এবং বাদাম তেল। সবকটি উপাদান মেশানোর পর মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ৫ মিনিট রেখে দিতে হবে। সময় হয়ে গেলে ধুয়ে ফেলতে হবে।
পরিমাণমত মসুর ডালের পেস্টের সঙ্গে সমপরিমাণ গাঁদা ফুল মিশিয়ে ভালো করে বেটে নিয়ে এই পেস্টটি বানাতে হবে। তারপর সেটি ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখার পর ধুয়ে ফেলতে হবে। ড্রাই স্কিনের সমস্যা দূর করার পাশাপাশি ব্রণের প্রকোপ কমাতে এবং ত্বককে নরম তুলতুলে করে তুলতেও এই ফেসমাস্কটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
১ চা চামচ মসুর ডালের পাউডারের সঙ্গে সমপরিমাণ বেসন এবং দই মেশাতে হবে। সঙ্গে যোগ করতে পারেন অল্প করে হলুদও। এবার সবকটি উপাদান ভালো করে মিশিয়ে মুখে লাগাতে হবে। কিছু সময় অপেক্ষা করার পর মুখ ধুয়ে নিতে হবে। ত্বক উজ্জ্বল হবেই!