চুল পড়া বন্ধ করবে তেজপাতা! দেখেনিন

রান্নার স্বাদ আর গন্ধ বাড়াতে তেজপাতার ব্যবহার বেশ পুরনো। কিন্তু উপকারী এই পাতাটি যে আপনার চুলের যত্নেও সমান কার্যকরী সেকথা কি জানতেন? যারা চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন, তারা একবার তেজপাতার নির্যাস ব্যবহার করেই দেখুন। মাত্র এক সপ্তাহ ব্যবহার করলেই চোখে পড়ার মতো ফল পাবেন।

শুধু চুল পড়া বন্ধেই নয়, খুশকি আর চুলের রুক্ষতা কমাতেও দারুণ কার্যকর তেজপাতা। তেজপাতা ব্যবহার করে সহজেই নির্মূল করতে পারবেন আপনার চুলের যাবতীয় সমস্যা। কীভাবে? জেনে নিন-

চুল পড়া বন্ধ করতে
তেজপাতার নির্যাস ব্যবহার করলে মাত্র পনেরো দিনের মধ্যে চুল পড়া কমে যাবে। তার জন্য গোটা দশেক ভালো তেজপাতা পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। এবার একটা পাত্রে এক লিটার জল গরম করুন। জল ফুটে উঠলে তাতে তেজপাতাগুলো দিয়ে দিতে হবে। তেজপাতাসমেত জলটুকু পাঁচ থেকে ছয় মিনিট ফুটতে দিন। তারপর আঁচ থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে তেজপাতা তুলে ফেলে দিন। এই তেজপাতা ফোটানো জলটুকু দিয়ে চুল আর মাথা ধুয়ে নিন। প্রতিদিন ব্যবহার করা যাবে।

রুক্ষ চুলের যত্নে
দুই কাপ জলে চার-পাঁচটা তেজপাতা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। ফুটে গেলে তেজপাতা ফেলে দিয়ে জলটুকু ছেঁকে নিন। শ্যাম্পু করা চুলে এই জলটুকু ঢেলে মিনিট পাঁচেক অপেক্ষা করুন, তারপর পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে একদিন করলে চুলের রুক্ষতা অনেক কমে যাবে, চুল পড়াও কমবে।

খুশকি তাড়াতে
চারটা ভালো তেজপাতা গ্রাইন্ডারে বা শিলপাটায় দিয়ে গুঁড়া করুন। আধকাপ নারিকেল তেলে ওই পাতার গুঁড়াটা ঢেলে দিন। নারিকেল তেলের বদলে অলিভ অয়েলও নিতে পারেন। পাতার গুঁড়া মেশানো তেলটা মিনিট পাঁচেক হালকা আঁচে গরম করে নিন। তারপর এই গরম তেলে তুলো ভিজিয়ে চুলের গোড়ায় আর চুলে মেখে খুব ভালো করে মাসাজ করুন। এক ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে নিন। কন্ডিশনার মাখতেও ভুলবেন না। সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করলে খুশকি আর ধারেপাশেও ঘেঁষবে না ।