ত্বককে টানটান ও উজ্জ্বল করে ভিটামিন সি। সেইসঙ্গে ত্বকের বলিরেখাসহ সব ধরনের কালচে দাগও দূর করে এই উপাদানটি। বর্তমানে ভিটামিন সি আছে এমন সব প্রসাধনী সামগ্রীর কদর বেড়েছে। বিশেষ করে ভিটামিন সি সিরাম, সব নারীরাই দৈনন্দিন ব্যবহার করে থাকেন।
তবে সব প্রসাধনী তো আর আসল নয়। কারণ নকলের ভিড়ে এখন আসল সব প্রসাধনী খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। তাই প্রাকৃতিক উপায়েই চাইলে ঘরেই তৈরি করে নিতে পারেন ভিটামিন সি সিরাম।
বাড়িতে ভিটামিন সি সিরাম তৈরি করতে প্রয়োজন হবে- ১টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল, ১ চা চামচ গ্লিসারিন, ২ চামচ গোলাপ জল ও ১/৪ আই-অ্যাসকর্বিক অ্যাসিড পাউডার। না হলে ভিটামিন সি ট্যাবলেটও গুঁড়ো করে নিতে পারেন।
এবার একটি ড্রপার যুক্ত কাচের শিশি নিন। ভিটামিন সি-এর গুঁড়ো আগে ঢেলে দিন। এরপর তার মধ্যেই গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। ভিটামিন ই ক্যাপসুল ফুটো করে বের করে ঢেলে দিন মিশ্রণে।
এরপর গ্লিসারিন মিশিয়ে দেবেন। ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিতে হবে সব উপকরণগুলো। অবশ্যই শিশিটি এয়ারটাইট করে অন্ধকার জায়গায় রাখবেন।
কীভাবে ব্যবহার করবেন ভিটামিন সি?
অল্প পরিমাণে ভিটামিন সি ব্যবহার করলেই কাজে দেবে। দুই এক ফোঁটা নিলেই হবে। তাই প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি নেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
প্রথমে মুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে নেন। তারপর টোনার লাগিয়ে ভিটামিন সি যুক্ত ফেস সিরাম ব্যবহার করুন। এরপর ময়েশ্চারাইজার বা নাইট ক্রিম লাগিয়ে নিতে পারেন।
প্রথম প্রথম ব্যবহারের সময় ত্বক সামান্য জ্বালা করতে পারে। প্রথমে প্রতিদিন ব্যবহার না করে; দুইদিন পরপর ব্যবহার করতে পারেন।
মুখে সরাসরি লাগানোর আগে হাতে ও কানের পিছনে ২৪ ঘন্টা লাগিয়ে দেখুন। যদি ত্বকে কোনো সমস্যা না হয়; তবেই মুখে লাগাবেন।
ভিটামিন সি সিরাম ব্যবহারের পরও সানস্ক্রিন ক্রিম কিন্তু অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। অন্তত ৩০ এসপিএফ-র সানস্ক্রিন লাগাতেই হবে।