মুখে ঘা? মেনে চলুন এই নিয়মগুলো?

মুখে ঘায়ের সমস্যা আপাতদৃষ্টিতে নিরীহ মনে হলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রায় দুই শতাধিক রোগের প্রাথমিক লক্ষণ প্রকাশ পায় এর মাধ্যমে। মুখের ভেতরের মাংসে বা জিহ্বায় ঘা হয়, ব্যথা করতে থাকে, কিছু খেতে গেলে জ্বলে- মোটামুটি এগুলোই হচ্ছে মুখে ঘা এর প্রাথমিক লক্ষণ।

কারো কারো ক্ষেত্রে মুখ ফুলে যাওয়া বা পুঁজ বের হওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। সাধারণত, মুখে গালের ভেতরের অংশে বা জিভে ঘা হয় কোনোভাবে কেটেছড়ে গেলে। আবার শক্ত ব্রাশ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করলেও এ সমস্যা দেখা দেয় অনেকের। খুব গরম পানীয় পান করলে বা কিছু চিবাতে গিয়ে গালের ভেতরে কামড় লাগলেও ঘা হতে পারে।

মুখে আঘাতের বিষয়ে সাবধানে থাকবেন। দাঁত ব্রাশের সময় সতর্ক থাকবেন। দাঁত আঁকাবাঁকা থাকলে তার চিকিৎসা করান। এ সমস্যা রোধের জন্য পরিমিত খাবার, ঘুম, মানসিকভাবে চাঙ্গা থাকার চেষ্টা করবেন।

যষ্টিমধু মুখের ঘা দূর করতে বেশ কার্যকরী একটি উপাদান। এক টেবিল চামচ যষ্টিমধু দুই কাপ জলে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর এটি দিয়ে কয়েকবার কুলি করুন। উপকার পাবেন।

অ্যালোভেরা জেল বা অ্যালোভেরার রস মুখের ঘা কমিয়ে দিতে পারে। অ্যালোভেরা জেল প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক, যার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফিংগাল, অ্যান্টিভাইরাল উপাদান ক্ষত কমিয়ে দিতে পারে।

এক টেবিল চামচ নারিকেল দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণ দিনে তিন থেকে চারবার ঘায়ের জায়গায় লাগান। মধু ছাড়া শুধু নারিকেলের দুধ দিয়েও ক্ষত স্থানে মালিশ করতে পারেন। ক্ষত দ্রুত সেরে যাবে।

কয়েকটি তুলসি পাতাসহ জল দিনে তিন থেকে চারবার পান করুন। এটি দ্রুত মুখের ঘা প্রতিরোধ করে দেবে এবং মুখের ঘা হওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেবে।

দ্রুত ব্যথা এবং জ্বালা দূর করতে টি ব্যাগ খুবই কার্যকর। একটি টি ব্যাগ ঠান্ডা জলে ভিজিয়ে সেটি ঘায়ের জায়গায় লাগান। ব্যথা এবং ক্ষত দ্রুত সেরে যাবে।

বেশি হলে এক টুকরা বরফ নিয়ে ঘায়ের স্থানে রাখুন। অথবা ঠান্ডা জল দিয়ে কুলকুচি করতে পারেন। লবণ-জল দিয়েও কুলকুচি করতে পারেন, এটি মুখের সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে। এক টুকরো লবঙ্গ মুখে দিয়ে রাখুন বা লবঙ্গের রস দিয়ে ক্ষত স্থানটিতে লাগাতে পারেন। উপকার পাবেন।