দিনের কোন সময়ে সূর্যের আলো ত্বকের জন্য বেশি ক্ষতিকর তা বোঝা যায় ছায়ার দৈর্ঘ্য দেখে।
রোদের প্রখরতা বোঝার একটা সহজ উপায় হল ‘শ্যাডো রুল’ বা ‘ছায়া নীতি’। এটা দিনের যে সময়ে বেশি অতিবেগুনী রশ্মি থাকে তা বুঝতে সহায়তা করে।
খেয়াল করলে দেখা যাবে, দিনের কিছু সময়ে অন্য সময়ের তুলনায় ছায়া ছোট হয় এবং এটি সূর্যের অবস্থা সম্পর্কে অনেক কিছু বলতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ডেনভারের বোর্ড-প্রত্যয়িত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ আন্দ্রেয়া সুয়ারেজ ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “যদি ছায়া আপনার আকারের চেয়ে ছোট হয় তাহলে ইউভি বা অতিবেগুনি রশ্মির মাত্রা বেশি এবং ছায়া যদি নিজের তুলনায় লম্বা হয় তাহলে অতিবেগুনি রশ্মির মাত্রা কম।”
অতিবেগুনি রশ্মি যত শক্তিশালী, সূর্যের আলোতে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি।
ক্যালিফোর্নিয়ার পাসাডিনা’র বোর্ড-প্রত্যয়িত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ আইভি লি ব্যাখ্যা করেছেন, যখন সূর্য মাথার ওপরে থাকে তখন ছায়া ছোট হয়।
ডা. লি বলেন, “সূর্যালোক সকাল দশটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত প্রখর থাকে। তাই এই সময়ে সূর্যের আলো এড়িয়ে চলতে পারলে ভালো। না হলেও অন্তত ছাতা বা সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।”
যদি এই সময়ে বাইরে থাকা হয় তবে অবশ্যই প্রতি দুই ঘণ্টা পর পর ‘ব্রড-স্পেকট্রাম সানস্ক্রিন’ ব্যবহার করার পরামর্শ দেন এই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ।
এই সময় সীমার মধ্যে খুব বেশি সময় বাইরে থাকা হলে অতিবেগুনি রশ্মি রোধক পোশাক পরা উচিত। রোদে পোড়াভাব না হলেও সূর্যালোক ত্বকের ক্ষতি করে থাকে।
ডা. লি’র ভাষায়, “নিরাপদ ‘ট্যান’ বলে কিছু নেই। যে কোনো সময় বাইরে থাকার কারণে অতিবেগুনি রশ্মির সংস্পর্শে আসা হয়। তখন ত্বকের কোষগুলোর ডিএনএ ক্ষতি হয়। আর তা প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকে।”
এর ফলে ত্বকে অকালে বয়সের ছাপ, কালচে দাগ, বলিরেখা, খসখসে চামড়া ইত্যাদির সমস্যা দেখা দেয়। আর ত্বকের ক্যান্সার সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।