মেকআপ লাগাতে যারা পছন্দ করেন তাদের একটা প্রশ্নের মুখে বারবার পড়তে হয়। সেটা হল দীর্ঘ সময় ধরে যদি রোজ মুখে মেকআপ লাগানো হয় তা হলে ব্রণর সমস্যা হয় কিনা? এটা এমন একটা প্রশ্ন যার উত্তর যেমন হ্যাঁ তেমন আবার না -ও হতে পারে। হ্যাঁ কারন যদি অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা না থেকে থাকে তা হলে ত্বকের পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নতাক অভাবে ব্রণ হতে পারে। বিশেষ করে যাদের তৈলাক্ত ত্বক কিংবা ব্রণ প্রবণ তাদের সতর্কতা অবলম্বনের প্রয়োজন।
তাই মেকআপের ব্যবহারের পর ভাল করে মুখ পরিষ্কার করা খুবই জরুরী। এক্ষেত্রে আরও ভাল হয় যদি অ্যান্টি অ্যাকনে ফেস ওয়াশ ব্যবহার করা যায়। তবে ভাল করে মুখ ধোওয়ার পাশাপাশি সতর্ক থাকতে হবে যাতে ভুল করে বারবার ব্রণতে হাত দিয়ে না ফেলেন। বিশেষ করে বাইরে বেরিয়ে কিংবা ধুলো বা অপরিষ্কার জায়গায় হাত দেওয়ার পর ভুলেও মুখে হাত দেবেন না।
আর যারা মেকআপ করতে পছন্দ করেন তাদের বাড়তি যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন।
এই নিয়ে তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করেছেন ডার্মেটোলজিস্ট ডা সু। এই পোস্টে তিনি জানিয়েছেন যারা মেকআপ করতে পছন্দ করেন তারা কিভাবে ত্বকের যত্ন নেবেন যাতে ব্রণ বা ফুসকুড়ির সমস্যায় তাদরে পড়তে না হয়।
আপনার ত্বকের ধরণ ও চাহিদা অনুযায়ী মেকআপ সামগ্রী বাছুন। যাদের তৈলাক্ত বিশেষ করে ব্রণ প্রবণ ত্বক তাদের জন্য মিনারেল যুক্ত মেকআপ ব্যবহার করতে পারেন।
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময় অবশ্যই মেকআপ মুছে ঘুমোতে যান। চোখে কাজল বা লাইনার লাগালে সেটাও নিয়মিত পরিষ্কার করুন না হলে সমস্যা হতে পারে।
ধৈর্য্য ধরে মেকআপ করুন। তাড়াহুড়ো করে ত্বকের ওপর অকারণে চাপ সৃষ্টি করবেন না। এতে সমস্যা হতে পারে। ব্রণও হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় কয়েকগুন।
প্রত্যেকবার ব্যবহারের পরে মেকআপ ব্রাশ ও স্পোঞ্জ পরিষ্কার করুন। এটা ভুললে চলবে না। অনেক সময় মেকআপ সরঞ্জামে অবশিষ্ট মেকআপ ও মুখের ঘাম জমে ব্যাক্টেরিয়ার সৃষ্টি হয়। আর সেই সরঞ্জাম পরিষ্কার কের ব্যবহার না করলে সংক্রমণের প্রবল সম্ভাবনা।
মেকআপ করার যেমন ধৈর্য্য ধরে কাজ সারেন মেকআর তোলার ক্ষেত্রেও ঠিক এখই কাজ করতে হবে।