আপনার মাড়িতে কি রক্তক্ষরণ হচ্ছে? তাহলে জেনেনিন বাড়িতে চটজলদি উপশমের উপায়

আচমকা মাড়ি দিয়ে রক্ত বেরোনোর সমস্যা কি আপনারও? না তবে ব্রাশ করতে গিয়ে কোনও আঘাত লাগেনি। আপনারও যদি একই সমস্যা হয় তা হলে ওরাল হেলথ নিয়ে সচেতন হতে হবে। হতে পারে মুখের ভিতরে এমন কোনও সমস্যা দানা বেঁধেছে যার অবিলম্বে চিকিৎসা না করালে সমস্যা আরও বাড়বে।  চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন দাঁতের যত্ন নিতে গিয়ে অধিকাংশ সময় মাড়ির দিকে বিশেষ নজর দেন না অনেকেই। এদিকে ওরাল হাইদজিন ও দাঁতের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে মাড়ির স্বাস্থ্য অত্যন্তু জরুরী।

যদি ব্রাশ করতে গিয়ে মাড়ি দিয়ে রক্ত বেরোয় তাহলে হতে পারে আপনি মাইল্ড জিনজিভাইটিসে আক্রান্ত। মাড়ি থেকে রক্ত বেরোনোর হাজার একটা কারন হতে পারে। তবে এই সমস্যা আকছার ঘটে বলে কেও তেমন কোনো গুরুত্ব দেয় না। এর ফলে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। তাই মাড়ি থেকে রক্ত বেরোনোর সমস্যা ফেলে না রেখে বাড়িতে এই কাজগুলো করতে পারেন।

লবঙ্গ তেল

দাঁত বা মাড়ির যে কোনও সমস্যার সহজ সমাধান রয়েছে এই লবঙ্গ তেলে। মাড়িতে চুলকানো বা জ্বালা করা কিংবা মাড়ি থেকে রক্ত বেরোনো বন্ধ করতে খুবই কার্যকরী এই লবঙ্গ তেল। তাই সমস্যা হলে লবঙ্গ তেলে মাড়িতে সরাসরি ঘষে নিতে পারেন কিংবা দুটো লবঙ্গ চিবিয়ে নিতে পারেন। হালকা একটা জ্বালা ভাব করবে ঠিকই তবে মাড়ির সমস্যা এক ঝটকায় অনেকটা কমে যাবে।

অ্যালোভেরা

অ্যালোভেরার হাজার একটা উপকারিতার মধ্যে মাড়ির জ্বালা ভাব কমিয়ে আনাও একটি। মাড়ির জ্বালা যন্ত্রণা হলে সামান্য অ্যালোভেরা জেল হাতে নিয়ে মাড়িতে মালিশ করুন। কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখার পর মুখ কুলকুচি করে ভাল করে ধুয়ে নিন। ছোটখাটো সমস্যায় প্রাকৃতিক অ্যালোভেরা জেল যু্ক্ত পানীয় খেতে পারেন।      

নিয়মিত দাঁত মাজা ও ফ্লস করা

দাঁতে বা মাড়ির সমস্যা এঁড়াতে প্রত্যেকদিন দুবার করে দাঁত মাজুন ও অন্তত একবার করে ফ্লস করুন। এর ফলে হাসলে যে শুধু আপনার মুখ থেকে মুক্ত ঝরবে তা নয় বরং দাঁত ও মাড়িতে জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধ করে অনেক সমস্যা দূরে রাখতে পারবেন।

তাজা ফল ও সবজি খাওয়া

ফল ও সবজিতে প্রচুর পরিমানে পুষ্টিকর উপাদান আছে। তাই টাটকা ও আমপ্রসেস্ড ফল ও সবজি খেতে পারেন। যে সব সবজি কাঁচা খাওয়া যায় সেগুলো খেলে মাড়ির ভাল মালিশ হয় রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। এটা মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে সাহায্য করে।

উষ্ণ নুন জলে মুখ ধোওয়া

মাড়ির যত্ন নেওয়ার সব থেকে সরল উপায় হল হালকা নুন গরম জলে গার্গেল বা মুখ কুলকুচি করা। এটা দিনে অন্তত ২ থেকে ৩ বার করুন। আরাম পাবেন। তবে জল যেন খুব গরম না হয়। তাই গার্গেল করার আগে আলতে করে মুখে ঠেকিয়ে দেখে নিন।

তেল টানা

এই পদ্ধতি মুখে তেল নিয়ে চারপাশে ভাল করে ঘুরিয়ে অনেকটা কুলকুচি করতে পারেন। এর ফলে কোনও জীবাণু সংক্রমণের কারনে মাড়িতে রক্তক্ষরণ হলে তা আসতে আসতে সেরে যাবে। এর জন্য আপনি নারকেল তেল ও তিলের তেল দিয়ে মুখ ধুতে পারেন যাতে মুখে কোনওরকম ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণ যাতে না হতে পারে।

ভিটামিন সি

আমলকি ও পাতিলেবুতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি রয়েছে। এগুলো মাড়ির ইনফ্লেমেশন কম করতে ভীষণ কার্যকরী। প্রত্যেকদিন অর্ধেক আমলকি বা পাতিলেবু খেতে পারেন। ভিটামিন সি-র ঘাটতি থাকলে কাজে দেবে।

ধুমপান বন্ধ করা  

তামাক যে মুখের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকার তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এর পাশাপাশি ধুমপান শরীরের রোগ প্রতিরোধ কমিয়ে দেয় কয়েকগুন। এর ফলে দাঁতে প্লেক বা ব্যক্টেরিয়া সংক্রমণ আটকাতে ব্যর্থ হয় আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। দেখা দেয় মাড়ির সমস্যা।