ব্রণ সেরে গেছে রয়ে গেছে দাগ? তাহলে জেনেনিন কোন পথে এর প্রতিকার

ত্বকের সব থেকে বড় সমস্যা হল আচমকা ব্রণ বা ফুসকুড়ির উদয় হওয়া। কেন কি কারণে এই অবস্থা এবং কোন পথে উপশম তা বুঝতেই সময় চলে যায়। আর এখানেই তো শেষ নয় ব্রণর থেকেও ভয়ঙ্কর হল ব্রণ বা ফুসকুড়ি সেরে ওঠার পর ক্ষতের চিহ্ন যখন মুখে থেকে যায়। ব্রণর নীচে থাকা ত্বক ভীষণ রকমের ক্ষতিগ্রস্ত হলে তবে এই ক্ষত চিহ্ন তৈরি হয়। অনেক ক্ষেত্রে আবার ব্রণ সেরে ওঠার পর ত্বক ভাল করতে এই ক্ষতের চিহ্নগুলো সৃষ্টি হয়।  কারণ সে যাই হোক না কেন আসল কথা হল মুখের সৌন্দর্য্যের ওপর এক প্রকার গ্রহণ লাগার মতই অবস্থা হয়।  তবে মুষড়ে পড়বেন না এই ক্ষতচিহ্ন যাতে দীর্ঘমেয়াদি না হয় তার জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি ঘরোয়া টোটকা।যেমন-

অ্যালোভেরা দিয়ে ত্বকের পরিচর্যা

ক্ষতস্থানে অ্যালোভেরা জেল লাগালে উপকার পাবেন।  শুধু যে ত্বকের জ্বালা জোড়াবে তাই নয় এক টানা ব্যবহারের পর দেখবেন ত্বকের ক্ষত জায়গাটা আসতে আসতে হালকা হচ্ছে।

মধু দিয়ে ত্বকের পরিচর্যা

অ্যালোভেরার মত মধুর ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি কার্যকারিতা রয়েছে। ত্বকের জ্বালা যন্ত্রণা কমিয়ে ত্বকের শুশ্রুষা করে মধু। তাই নিয়ম করে প্রত্যেকদিন ক্ষত স্থানে মধু লাগালে দেখবেন ক্রমশ হালকা হবে ক্ষত চিহ্নগুলি। এমনকি একেবারেই সেরে যেতে পারে।

ব্ল্যাক সিড অয়েল দিয়ে ত্বকের পরিচর্যা

নামটা শুনে অনেকর কপালে ভাঁজ পড়লেও এই উপকরণ ভীষণ সহজলভ্য। এটা হল কালো জিরে। কালো জিরের তেল ক্ষতস্থানে নিয়মিত লাগালে ভাল ফল পাবেন। এর তেলের অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি কার্যকারিতা রয়েছে। এই তেল শুধু ব্রণ বা ফুসকুড়ি কম করেই তোলে তা নয়, বরং  ত্বকও ভাল করে দেয়। এই তেল নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বক সেরে উঠার পাশাপাশি ত্বকে পিগমেন্টেশনের সমস্যা থাকলে তাও কমবে।

আপনি ও ব্রণর দাগ নিয়ে সমস্যায় পড়ছেন? তা হলে ত্বকের যত্ন নেন কি ভাবে?