অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা আর অতিরিক্ত ধূমপানই হৃদরোগের অন্যতম কারণ। বিশ্বজুড়ে বাড়ছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা। হঠাৎ করে হৃদরোগ শরীরে বাসা বেঁধেছে এরকম কিন্তু হয় না।
দিনের পর দিন শরীরের উপর অত্যাচার, ধকল থেকে নীরবে আধিপত্য বিস্তার করে হৃদরোগের মত সমস্যা। আর এই কারণেই প্রথম থেকেই শরীরের যত্ন নিতে হবে। সঠিক সময় মেনে খাওয়া, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, ধূমপান, মদ্যপান এড়িয়ে চলা- মূলকথা নিজেকে একটা রুটিনের মধ্যে বেঁধে ফেলতে হবে।
হঠাৎ করে যদি পিঠে, পায়ে চর্বি জমতে থাকে তা কিন্তু হৃদরোগের লক্ষণ। শরীরে অতিরিক্ত মাত্রায় কোলেস্টেরল জমতে থাকলে চোখের পাতায় তার দেখা মেলে। পায়ে যদি হলুদ বা কমলা রঙের কোলেস্টেরল জমে তাহলে তা কিন্তু হৃদরোগের লক্ষণ।
নখের আকার কিংবা রং পরিবর্তন হলে বিশেষজ্ঞরা একবার কোলেস্টেরল পরীক্ষা করে নিতে বলেছেন। অনেক ক্ষেত্রে নখের আকার ও রং পরিবর্তন ফুসফুস এবং হার্টের সমস্যাকেই নির্দেশ করে। নখের রং হলদে হতে থাকলেও সাবধান হতে হবে।
যদি হাত আর পায়ের আঙুলে অস্বাভাবিক কোনও মাংসপিণ্ড দেখা দেয় তাহলে বুঝতে হবে কোলেস্টেরলের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে যান। কারণ এমন হলে বুঝতে হবে কোলেস্টেরল মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে, যে কোনও সময় দুর্ঘটনায় পড়তে পারেন।
সামান্য ফুসকুড়িও হতে পারে অস্বাভাবিকতার লক্ষণ। যদি ত্বকের কোনও অংশ হঠাৎ করে নীল বা বেগুনি হয়ে যায় এবং সেই সঙ্গে ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দেয় তাহলে এখনই সাবধান হন। কোলেস্টেরল বাড়ছে বলেই এমন সমস্যা হচ্ছে।