শিশুদের মানসিক বিকাশে পারিপার্শ্বিক সামাজিক উপাদানগুলির যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। কারও সঙ্গে মিশতে না পারলে শিশুদের মনে অবসাদ ভর করতে পারে। সন্তান যদি মেলামেশা করতে সহজ বোধ না করে তবে তা নিয়ে চিন্তার শেষ থাকে না অভিভাবকদের। কিন্তু একথাও সত্যি যে, সন্তানের মনের কথা অনেক সময়ই বুঝতে পারেন না বাবা-মা।
সন্তানের আচরণে একাধিক পরিবর্তন এই ধরনের সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে। যেমন- বাড়ির বাইরে যেতে অস্বীকার করা, সব সময় মন মরা হয়ে থাকা কিংবা কারণে অকারণে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠা। এই লক্ষণগুলি দেখা দিলে সন্তানকে বকাঝকা না করে কাছে গিয়ে তার সমস্যা বোঝার চেষ্টা করুন। অনেক সময় এই আক্রমণাত্মক মনোভাব ও নিজেকে সরিয়ে রাখার প্রবণতা বারবার ঘটতে পারে। কোন কারণে এমন ঘটছে, অভিভাবককেই খুঁজে বের করতে হবে।
কী করবেন
কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় শিশুর কোনও বাজে অভ্যাসের কারণে বন্ধুরা তাকে দূরে ঠেলে দেয়। এই সমস্যার সমাধান হতে পারে সহজেই। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে আর্থ-সামাজিক বা ভাষাগত কারণও থাকতে পারে এর পেছনে। এক্ষেত্রে সন্তানকে সাহস দিতে হবে। সেই সঙ্গে সহজ ভাষায় তাদেরকে নৈতিকতা শেখাতে হবে। কিন্তু এই সব কিছুর বাইরেও মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত একাধিক বিষয় থাকতে পারে এই ঘটনার পিছনে। এমন ক্ষেত্রে অবশ্যই মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ দিতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা শিশু মনের খেয়াল বলে এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়।