সাধারণ পেটব্যথা নাকি আলসার বুঝবেন যেভাবে, জেনেনিন পদ্ধতি

আলসার খুবই জটিল এক রোগ। এই সমস্যা একবার হলে তা পুরোপুরি সারানো বেশ কঠিন। মূলত খাদ্যাভ্যাসের ভুল কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে এই রোগের ঝুঁকি।

ছোট থেকে বড় অনেকেই এখন ভুগছেন আলসারে। তবে আলসারের সমস্যাকে প্রাথমিক অবস্থায় সবাই সাধারণ পেটে ব্যথা মনে করে এড়িয়ে যান। ফলে রোগটি আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।

এই রোগ প্রসঙ্গে কলকাতার আমরি হাসপাতালের বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. রুদ্রজিৎ পাল জানান, আলসার সম্পর্কে অনেকেরই হয়তো সঠিক ধারণা নেই।

অ্যাসিড ও পেপসিন এনজাইমের কারণে পাকস্থলী বা ডিওডিনামে তৈরি হতে পারে ক্ষত। আর ওই ক্ষতই হলো স্টমাক আলসার।

বিশেষজ্ঞের মতে, আলসার রোগ থেকে অনেক সমস্যাই হতে পারে। এক্ষেত্রে পেটের ভেতরে রক্তপাত ঘটতে পারে। এ কারণে অনেকেই ভুগতে পারেন অ্যানিমিয়ায়।

আলসারের সঠিক টিকিৎসা না করলে পাকস্থলীতে ছিদ্র হতে পারে। দীর্ঘদিন এই অবস্থায় থাকলে আলসার ক্যানসারে পরিণত হতে পারে।

আলসারের লক্ষণ কী কী?

এ বিষয়ে ডা. পাল জানান, এই রোগের লক্ষণ হলো পেটে ব্যথা। সাধারণত আলসারের ক্ষেত্রে পেটের উপরের দিকে ও বুকের ঠিক নীচে ব্যথা হয়। প্রথমে কম থাকলেও ধীরে ধীরে বাড়ে ব্যথা।

এক সময় মনে হতে পারে যেন পেটের ভেতরে পুড়ে যাচ্ছে। অনেকে আবার ব্যথার বদলে পেটের জ্বালাপোড়ায় ভোগেন। এছাড়া ক্ষুধামন্দা ও বমি বমি ভাব থাকে।

এসব লক্ষণ দেখলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। রোগের উপসর্গ জেনে এন্ডোস্কোপি করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।

আলসারের চিকিৎসা কী?

আলসারের চিকিৎসায় প্রোটিন পাম্প ইনহিবিটর জাতীয় ওষুধ দেওয়া হয়। এই ওষুধ অত্যন্ত কার্যকরী। এই ওষুধের মাধ্যমে সমস্যা দ্রুত কমিয়ে ফেলে যায়। ওষুধটির মাধ্যমে পেটে অ্যাসিড বের হওয়া বন্ধ হয়।

তবে অনেক ক্ষেত্রে এইচ.পাইলোরি নামক ব্যাকটেরিয়া এই সমস্যার কারণ হয়ে থাকে। ওই অবস্থায় চিকিৎসকরা অ্যান্টিবায়োটিক সাজেস্ট করেন।

কী খাবেন, কী খাবেন না?

বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী, আলসারের রোগহীদের ধূমপান ও মদ্যপান করা যাবে না। এছাড়া দূরে থাকতে হবে ঝাল খাবার থেকে। শুকনো ও কাঁচা মরিচের ঝাল থেকেও সমস্যা বাড়তে পারে।

তাই এসব খাবার থেকে যতটা সম্ভব দূরত্ব রাখুন। সব সময় পাতে হালকা খাবার রাখার ও প্রচুর জল পান করতে হবে এমন রোগীদের।