জিভের জড়তা কীভাবে কাটবে? বিস্তারিত জানতে পড়ুন

অনেকেরই জিভের জড়তা থাকে। কথার বলার সময় বার বার আটকে যাওয়া, কোনো শব্দ সঠিকভাবে উচ্চারণ করতে না পারা এমন কিছু সমস্যার কারণ জিভের জড়তা। বিশেষ করে শিশু বয়সেই জিভের জড়তার সমস্যা বেশি থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জড়তাও কমে যায়। তবে কিছুক্ষেত্রে কারো কারো জিভের এই জড়তা থেকেই যায়। বেশি বয়সেও জিভের জড়তা থাকলেই পড়তে হয় বিপাকে। তাই তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করতে হবে নিজেকেই।

কয়েকটি সহজ পদ্ধতিতে ঘরেই নিজের চেষ্টায় জিভের জড়তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। এর আগে জানতে হবে জিভের জড়তার ধরনগুলো কেমন থাকে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভাষার উপর দখল কম থাকলে অনেক শিশুর এই সমস্যা হয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি কমে যায়। মস্তিষ্ক এবং জিভের মধ্যে সংযোগকারী স্নায়ুর সমস্যা থাকলেও এটি হতে পারে। ভাবনাচিন্তার ক্ষেত্রে নানা জটিলতা জিভের জড়তা বাড়িয়ে দেয়।

এছাড়াও পরিবারের অন্যদের এই সমস্যা থাকলে, পরবর্তী প্রজন্মের কারও কারও এটি হতে পারে। ছোটবেলায় পুষ্টিকর খাবারের অভাবেও স্নায়ুর ঠিক মতো বিকাশ হয়। এটিও একটি প্রধান কারণ। আবার মস্তিষ্কে আঘাত পেলে জিভের জড়তার সমস্যা হতে পারে।

জিভের জড়তা কাটাতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। পাশাপাশি নিজেই কয়েকটি কৌশলে এই জড়তা কাটিয়ে উঠতে পারবেন-

১. যাদের জিভের জড়তা আছে তারা বড় বড় শ্বাস নিয়ে খুব ধীরে ধীরে কথা বলার চেষ্টা করুন। প্রতিনিয়ত এটি অনুশীলন করুন। সমস্যা কমতে পারে।

২. নিয়মিত গান গাওয়ার অভ্যাস করুন। জিভের জড়তা অনেকটা কেটে যাবে। শিশুর এই সমস্যা থাকলে, তাকে গান শেখাতে পারেন। সমস্যা কমে যাবে।

৩. জিভের জড়তা কাটাতে শিশুকে জোরে জোরে শব্দ করে পড়ার অভ্যাস করান। বড়দের ক্ষেত্রে বই, সংবাদপত্র বা পত্রপত্রিকা হাতের কাছে যাই পাবেন তা জোরে উচ্চারণ করে পড়ার অভ্যাস করুন। নিয়মিত সেগুলো জোরে জোরে পড়লে এই সমস্যা কমবে।

৪. মুখের কিছু ব্যায়াম রয়েছে। সেগুলো নিয়মিত করুন। গলা থেকে শব্দ বের করার চেষ্টা করুন। নিয়মিত ব্যায়াম করবেন এবং শুদ্ধ উচ্চারণের চেষ্টা করবেন। জিভের জড়তা কেটে যাবে।

৫. ঘরে চেষ্টার পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সেই অনুযায়ী চললে জিভের জড়তা অনেকটাই কমে যাবে।
মনে রাখবেন, ইচ্ছে ও চর্চা থাকলে মানুষে যেকোনো কিছু আয়ত্ত করা সহজ হয়।