ত্বকের সমস্যা দূর হবে চিয়া বীজের ফেস প্যাকে! কী ভাবে বানাবেন জেনেনিন?

পুষ্টিগুণের ভাণ্ডার হিসেবে দিন দিন বাড়ছে চিয়া বীজের জনপ্রিয়তা। ওজন কমাতে দারুণ কার্যকর এই বীজ এবং দীর্ঘ সময় পেটও ভরা রাখে। এতে উচ্চ ফাইবার থাকার কারণে হজম প্রক্রিয়ার উন্নতি হয়। চিয়া সিডের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এছাড়াও, এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় ফ্রি র‌্যাডিক্যালের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করতে পারে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চিয়া বীজের দারুণ ভূমিকা রয়েছে।

কেবল স্বাস্থ্যরক্ষাই নয়, ত্বকের পরিচর্যাতেও এই বীজের জুড়ি মেলা ভার। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফেরাতে, দাগছোপ ও ব্রণ দূর করতে খুব সাহায্য করে চিয়া বীজ। ত্বকে বয়সের ছাপ ঠেকিয়ে রাখতেও দারুণ কাজ করে এই বীজ। চিয়া বীজ দিয়ে বানিয়ে ফেলুন ফেস প্যাক আর তাতেই হবে ত্বকের হাজারো সমস্যার সমাধান।

একটি বাটিতে ২ টেবিল চামচ চিয়া সিড, ৪ টেবিল চামচ নারকেল তেল এবং ১ টেবিল চামচ লেবুর রস ভাল করে মিশিয়ে নিন। আধ ঘণ্টা ঢাকা দিয়ে রেখে দিন। চিয়া বীজ ফুলে উঠলে তা ভাল করে মুখে ও গলায় লাগান। এর পর আরও ২০ মিনিট রেখে প্যাকটি শুকনো করুন। তারপর বৃত্তাকার গতিতে ম্যাসাজ করতে করতে প্যাকটি জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

এই ফেস প্যাকটি চেহারায় বার্ধক্যের ছাপ পড়তে দেয় না, ব্রণ প্রতিরোধে করে, ত্বককে হাইড্রেট করে এবং ত্বকের মৃত কোষ দূর করে।

২ টেবিল চামচ চিয়া বীজ জলে ভিজিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। এর পর তা জল থেকে তুলে ছেঁকে নিয়ে ওর সঙ্গে ১ চা চামচ মধু আর ১ চা চামচ অলিভ অয়েল ভাল করে মিশিয়ে নিন। এ বার তা মুখে লাগিয়ে মালিশ করুন। শুকনো হলে জলে ধুয়ে নিন।

এই ফেস প্যাকটি ত্বককে ময়শ্চারাইজ এবং উজ্জ্বল করে, পাশাপাশি বার্ধক্যের ছাপও দূর করতে সাহায্য করে।

২ টেবিল চামচ চিয়া বীজের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল মিশিয়ে মুখে ও গলায় লাগান। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

চিয়া বীজ আগে থেকে জলে ভিজিয়ে রাখুন। এর পর তা জল থেকে তুলে নিয়ে ওর সঙ্গে টক দই, ওটস আর মধু ভাল করে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই প্যাক ব্যবহার করতে পারলে খুব ভাল। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে দারুণ কাজ করে এই প্যাক।