বলিউড তারকা মালাইকা অরোরার বয়স পঞ্চাশ পার হতে চললো। তবু দেখলে যেন মন হয় কোনো টগবগে তরুণী। বলিউড অভিনেত্রীদের মধ্যে যাদের ফিটনেস সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয়, তাদের মধ্যে উপরের দিকেই আছে মালাইকার নাম। তিনি সব নিয়ম মেনে চলেন কাঁটায় কাঁটায়। শরীরচর্চায় রাখেন না কোনো গলদ। ডায়েট মেনে খান। চেহারার উজ্জ্বলতা, শরীরের গঠনের দিকে তাকালে তার বয়স বোঝার সাধ্য নেই কারও!
নিজের ফিটনেস ধরে রাখার জন্য ডায়েট করেন অনেকে। কিন্তু খাবার কতটা খাবেন তা বুঝে উঠতে পারেন না। মালাইকার মতো ফিটনেস পেতে চাইলে বাড়তি প্রচেষ্টা তো থাকতেই হবে। মালাইকা নিজেই প্রকাশ করেছেন তার ডায়েটের কথা। তিনি ফিটনেস ধরে রাখার জন্য প্রতিদিন কোন রুটিন মেনে চলেন, ফাঁস করেছেন সে রহস্যও। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
উপোস
ঠিক শুনেছেন। মালাইকা প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা কিংবা সাড়ে সাতটার মধ্যেই রাতের খাবার সেরে নেন। এরপর আর কোনোভাবেই কোনো খাবার খান না। পরদিন সকালের খাবার করার আগে হিসাব করে দেখেন তার পেট ১৬-১৮ ঘণ্টা খালি ছিল কি না! এরপরই খাবারের টেবিলে বসেন তিনি। এই অভ্যাসকে তো উপোস বলাই যায়!
ওজন
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য মালাইকার প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়। কারণ ছোট ছোট বিষয়ও তার নজর এড়ায় না। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে একবার নিজের ওজন মেপে নেন। ওজনের বাড়া-কমা খুব খেয়াল করে দেখেন। যদি কখনো ওজন বেড়ে যায় তবে সেই অনুযায়ী রুটিন ঠিক করে নেন, কমে গেলে তখন আপনার সেই ওজন অনুযায়ী।
দিনের শুরুতে
আমাদের বেশিরভাগেরই অভ্যাস হলো দিনের শুরুতে এক কাপ কফি বা চা খাওয়া। কিন্তু মালাইকার ক্ষেত্রে সেটি ভিন্ন। তিনি দিন শুরু করেন এক কাপ ইমিউনিটি ওয়াটার খেয়ে। এটি কীভাবে তৈরি করে? গরম জলে সামান্য আদা কুচি আর লেবুর রস মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয় এই বিশেষ পানীয়।
উপোস ভঙ্গ
রাতের বেলা খাবার খাওয়ার পর অন্তত ১৬ থেকে ১৮ ঘণ্টা পেট খালি রাখেন মালাইকা অরোরা। সহজ ভাষায় যার নাম দেওয়া যেতে পারে উপোস। সেই উপোস তিনি ভাঙেন কাজু, আমন্ড, পেস্তা জাতীয় শুকনো ফল দিয়ে। বিভিন্ন রকম বাদামই তখন তার খাবার।
খাবারের পর্ব
উপোস ভাঙার পর মালাইকা মন দেন ওয়ার্কআউট, যোগ ব্যায়ামে। এরপর খান খাবার। খাবারের পাতে থাকে অ্যাভোকাডো টোস্ট, গ্রিন স্মুদি, বেকড ডিম কিংবা মিষ্টি আলুর রোস্ট। সেইসঙ্গে থাকে প্রচুর সবুজ শাক-সবজি।
দুপুরের খাবার
দুপুরের খাবার কখনোই বাদ দেন না মালাইকা অরোরা। তিনি দুপুরের খাবার খান পেটপুরে। এই খাবার থাকে ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ। প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় অধিকাংশ ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেট তিনি দুপুরের খাবার থেকেই গ্রহণ করেন।
রাতের খাবার
রাতের খাবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে সাড়ে সাতটার মধ্যে সেরে ফেলেন সেকথা আগেই জেনেছেন। ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত তিন ঘণ্টা আগেই তিনি রাতের খাবারের পর্ব সারেন। রাতের খাবারে কয়েক ধরনের খাবার তিনি খান। তাতে থাকে শাক-সবজি, ডিম অথবা মাংস ও বিভিন্ন ধরনের ডাল।