পিরিয়ডের সময়ে অল্পতেই রেগে যান! তাহলে এর ঘরোয়া উপায়, জেনেনিন

পিরিয়ডের সময় বহু নারীরই মেজাজ ভাল থাকে না। মুহূর্তে মুহূর্তে বিরক্তি, অস্বস্তি লেগে থাকে অনেকেরই। পিএমএস বা প্রিমেনস্ট্রুরাল সিন্ড্রোম বহু ঋতুমতী নারীর ক্ষেত্রেই দেখা যায়। পেটব্যথা, দুর্বল লাগা, মাঝে সাঝেই মেজাজ পরিবর্তন হয়ে যাওয়ার মতো বিভিন্ন সমস্যা এই সময় দেখা যায়।

আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য, ঘরোয়া একাধিক উপায় রয়েছে। যা এই সমস্ত সমস্যা থেকে রেহাই দিতে পারে।

ব্যায়াম

দিনে অন্তত ৩০ মিনিট সময় দিন প্রাণায়মে। সন্ধ্যাবেলা হোক বা সকালে প্রাণায়ম করা খুবই উপকারী। এতে স্ট্রেস হরমোন কমে। এছাড়াও দিনে ৪০ মিনিট অন্ত হাঁটাচলা করা বা সাইকেলিং করা জরুরি। জগিং, রানিং, জিম এমনকি নাচও শরীরের পক্ষে ভালো।

ধনে পাতার জুস

দিনে একবার অন্তত ধনে পাতার জুস খেলে পিরিয়ডজনিত বিভিন্ন সমস্যা কেটে যায়। ধনে পাতা না থাকলে, ধনে জলে ভিজিয়ে রেখে , তার জল খেতে পারেন। মিলবে ফল। এতে পেট ভাল থাকে। আর সারাদিনে অন্তত ৭ থেকে ১২ গ্লাস জল খাওয়া প্রয়োজন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলার ক্ষেত্রে।

কিশমিশ ও আমন্ড

রোজ ভিজিয়ে রাখুন আমন্ড বাদাম ও কিশমিশ। আর তা ঘুম ছেকে উঠেই খেয়ে ফেলুন। আপনার পিরিয়ডজনিত নানান ধরনের সমস্যা এতে সমাধান হয়ে যাবে।

সবজির বীজ

পিরিয়ড শুরুর প্রথম সপ্তাহে কুমড়োর বীজ খাওয়া উপকারী। অন্যদিকে,মেনস্ট্রুয়াল সাইকেলের শেষ দিকে সূর্যমুখীর বীজ ও তিল খাওয়া খুবই উপকারী।

মিষ্টি ফল খান

দুধ, অলিভ অয়েল জাতীয় খাবার এই সময় জরুরি। এছাড়াও বীজ জাতীয় খাবার ও বাদাম জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজনের। এতে মেটাবলিজম ভাল থাকে ও হরমন ভারসাম্য পায়।

তাড়াতাড়ি ঘুম

পিরিয়ডের সময়ের সমস্যা কাটাতে বেশি রাত না জেগে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়া উচিত। সেক্ষেত্রে ১০ টা নাগাদ ঘুমিয়ে পড়লে তা শরীরের পক্ষে ভাল। শরীরকে যথাসম্ভব বিশ্রামে রাখা এই সময় জরুরি।