অন্যকে রক্ষা
অন্যকে রক্ষা করার জন্য কেউ আপনার ওপর মন খারাপ করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কিংবা অনুতাপে ভোগার দরকার নেই। মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য কখনো ক্ষমা চাওয়ার দরকার নেই। কারণ, কাউকে বিপদ থেকে রক্ষা করা প্রাণী হিসেবে মানুষের নৈতিক দায়িত্ব।
নিজের একান্ত প্রয়োজন
আপনার উপকারে আসে—এমন সিদ্ধান্ত বেছে নেওয়ার জন্য ক্ষমা চাওয়ার দরকার পড়ে না। জীবনের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে এমন কিছুর প্রয়োজন দেখা দেবে, যা মেটাতে বিবেকের মধ্যে লড়াই হবে। কিন্তু প্রয়োজন মেটাতে পিছিয়ে পড়তে নেই। যেমন—সত্য কথা বলা, নিজের মতো থাকা, সঠিক পছন্দ করা, অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করা ইত্যাদি।
ব্যক্তিত্ব
অন্যের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ না করে আপনি নিজের মতো করে নিজের একটা ব্যক্তিত্ব গড়তেই পারেন। এতে কেউ আপত্তি জানালে তা আমলে নেওয়ার দরকার নেই, ক্ষমা চাওয়া তো দূরের কথা।
অসৎ সঙ্গ ত্যাগ
নিজের স্বার্থেই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। নিজের জীবন শান্তিময় করতে এ কাজটি অতি জরুরি বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। খুঁজে দেখুন, আপনার চারপাশে এমন অনেকেই আছে, যাদের সঙ্গ ত্যাগ না করলে আপনাকে ভুগতে হবে।
মতামত প্রকাশ
মতামত প্রকাশে কখনো পিছিয়ে আসতে নেই। বিবেক-বুদ্ধি দিয়ে যে মতামত প্রকাশ করবেন, তার জন্য কখনো ক্ষমা চাওয়ার প্রয়োজন নেই। কেউ না মানলে অনুতাপে ভোগারও দরকার নেই। এ ছাড়া নিজের নীতিতে জীবন পরিচালনা করতেও পিছপা হবেন না।
ভালোবাসা
যাকে ভালোবাসেন, তাকে ভালোবাসতেও সাহস হারাতে নেই। ক্ষমা চাওয়া তো পরের কথা। ভুল মানুষকে ভালোবেসে থাকলেও তা আপনার নিজস্ব বিষয়।
আবেগ
হতে পারে আপনি অনেক আবেগপ্রবণ। যেকোনো বিষয় আপনার জন্য স্পর্শকাতর হতেই পারে। কিন্তু এ জন্য কারো অভিযোগে লজ্জা বা অস্বস্তিতে পড়ার দরকার নেই।