স্থুলতা আজকাল বড় ধরণের সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। স্থুলতা বা Obesity হচ্ছে শরীরের অতিরিক্ত ওজন। স্থুলতার কারণে ঘাতকব্যাধি রোগ বাসা বাঁধে শরীরে।
ওজন মাপার গাণিতিক হিসাবকে বলা হয় ‘বডি মাস ইনডেক্স’ বা বিএমআই। ব্যক্তির মোট ওজনকে ভাগ করা হয় মিটারে তার উচ্চতার বর্গ দিয়ে। ভাগফল ২৫ বা তার চেয়ে বেশি হলেই ওই ব্যক্তি। আর ৩০ বা তার বেশি হলেই তাকে মারাত্মক স্থুল হিসেবে চিহ্নিত করেন বিশেষজ্ঞরা।
অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ, কায়িক পরিশ্রম না করা, বংশগত কারণ, কিছু কিছু হরমোন জনিত কারণে, কোন কোন ওষুধ জনিত কারণে এবং কখনও মানসিক সমস্যা থেকেও স্থুলতা হতে পারে। স্থুলতার ভয়াবহতা সম্পর্কে জানলে আসলেই ভীত হতে হয়। কারণ বহু ধরনের ক্যান্সারেরও ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
১. প্রস্টেট ক্যান্সার
পুরুষদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় প্রস্টেট ক্যান্সার। যা প্রস্টেট গ্রন্থিকে আক্রান্ত করে। দেহে অতিরিক্ত চর্বি জমা হলে প্রস্টেট প্রন্থি বড় হয়ে যায়। যার ফলে মারাত্মক ধরণের ক্যান্সার হয়।
২. জরায়ু ক্যান্সার
অতিরিক্ত ওজনের কারণে পুরুষদের মধ্যে যেভাবে প্রস্টেট ক্যান্সার হয় তেমনি নারীদের মধ্যেও অতিরিক্ত চর্বির ফলে জরায়ু ক্যান্সার হতে পারে।
৩. স্তন ক্যান্সার
স্তন ক্যান্সারের একটি বড় কারণ অতিরিক্ত ওজন। বিশেষ করে মেনোপোজের পর। কারণ মেনোপোজের পর আপনার দেহের বেশিরভাগ ইস্ট্রোজেন আসে ফ্যাট টিস্যু থেকে। আর ফ্যাট টিস্যু যতবেশি হবে ততই ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বাড়বে এবং স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়বে।
ব্ল্যাড ক্যান্সার, থাইরয়েড ক্যান্সার, লিভার ক্যান্সারও হতে পারে শরীরের বাড়তি ওজনের কারণে।
তবে আশার কথা হচ্ছে, স্থুলতা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। এজন্য-
খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা যেতে পারে
কায়িক পরিশ্রম ও ব্যায়াম করতে হবে
কম ক্যালোরির খাদ্য গ্রহণ করতে হবে
চর্বি ও চিনিযুক্ত খাদ্য গ্রহণ কমাতে হবে বা বিরত থাকতে হবে
আঁশ যুক্ত খাদ্য বেশি খেতে হবে।
এছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওজন কমানোর ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।