গ্রীষ্মের প্রকট দাবদাহে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে। এই সময় দাঁড়িয়ে ডাক্তারা বরাবরই পরামর্শ দিচ্ছে বেশি পরিমাণে জলীয় খাবার খেতে। এছাড়া নির্দিষ্ট সময় অন্তর জল, ডাবের জল, টক দই এসব অবশ্যই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে বলছে। গরমের দিনে টক দই বা টক দইয়ের লস্যি খাওয়া ভীষণই ভালো। এতে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি২ এরূপ বিভিন্ন উপাদান। এর পাশাপাশি এটি ত্বককেও সুন্দর করে তোলে। তবে বাজার চলতি দইয়ের থেকে বাড়িতে একেবারে ঘরোয়া এবং জৈব উপায়ে তৈরি করে নিতে পারেন টক দই আর তাতে সময় লাগবে মাত্র দুই ঘন্টা।
মাটির পাত্রে সবথেকে ভালো দই তৈরি করা যায়। এর জন্য সবার প্রথমে দুধ গরম করতে হবে অল্প করে। সেই হালকা গরম দুধে অল্প টক দই নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর একটি পাত্রে অল্প গরম জল ঢেলে, তাতে মাটির পাত্রটি রেখে ঢেকে দিতে হবে। অবশ্যই সেই দইয়ের মধ্যে তিন-চারটি কাঁচা লঙ্কা দিতে হবে, তাহলেই সেটি দুই- তিন ঘন্টার মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে। এরপরে দইয়ের পাত্রটিকে একেবারে সিল করে গরম জায়গায় রেখে দিতে হবে। তাহলেই দেখা যাবে দুই ঘন্টার মধ্যে দুই তৈরি।
অবশ্যই যে জিনিসগুলি মাথায় রাখতে হবে :
টক দই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভীষণ উপকারী। তবে অনেকেই এর মধ্যে নুন কিংবা চিনি মিশিয়ে খান। বিশেষজ্ঞরা বলছে, যদি টক দই নুন মিশিয়ে খাওয়া হয় তাহলে ঠান্ডা লেগে কফের সমস্যা হতে পারে। তাই কিছুদিন পরপর নুন সহযোগে দই খাওয়া ভালো।
অপরদিকে আবার নুন মিশিয়ে যদি দই খাওয়া হয়, তাহলে সেটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
যাদের উচ্চ রক্তচাপের মত সমস্যা রয়েছে, তাদের কখনোই নুন দেওয়া দই খাওয়া যাবে না।
আবার যারা কঠোর ডায়েটের মধ্যে রয়েছে তাদের চিনি মিশিয়ে দই খাওয়া একেবারেই উচিত নয়।