অনেকে বেড়াতে গেলেই সঙ্গে চিপসের প্যাকেট রাখেন। আর খেতে খেতে এমন অবস্থা হয়েছে যে, চিপস খাওয়া অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আবার সিনেমা হলে গিয়ে পপকর্ন আর পটেটো চিপস খেয়ে থাকেন অনেক। যেভাবে চিপস খান না কেন। এই চিপস কিন্তু শরীরের জন্য আসলেই ক্ষতিকর।
আমরা অনেকেই সকালে ঘুম থেকে উঠে, দুপুর হোক বা রাতে খাবারের পাতে, বিকালে চায়ের সঙ্গে বা যখন কোমল পানীয় খাই তখন পটেটো চিপস খেয়ে থাকি।
আসলে চিপস খাওয়ার কি কোনো নির্দিষ্ট সময় আছে! যখন মন চাইল, কাছের কোনো দোকান থেকে কিনে খেয়ে নিলেই হলো।
বাজারে শিশুদের জন্য পাওয়া মুখরোচক স্বাদের পটেটো চিপস। আর খাওয়ার ঝোঁক অনেকটাই বেশি।
জানেন কী– বাজার চলতি মুখরোচক চিপসের মধ্যেই রয়েছে এমন এক রকমের রাসায়নিক উপাদান, যা ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ হতে পারে। সম্প্রতি সুইডিশ ন্যাশনাল ফুড অথরিটির একটি গবেষণায় সামনে এসেছে এমনই একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য।
এক্রাইলামাইড বা এক্রিলামাইড প্রাকৃতিকভাবে সংগঠিত এমন এক প্রকার রাসায়নিক যৌগ, যা উচ্চক্ষম শর্করা বহনকারী শস্য বা সবজিতে থাকে এবং উচ্চ তাপমাত্রায় উত্তপ্ত হলে সেই যৌগ গঠনে সক্ষম হয়।
মানুষের আয়ু কমানোর জন্য এই রাসায়নিক যৌগটির যেমন বিশেষ ভূমিকা রয়েছে, তেমনি এটি ক্যান্সারের কোষকে দ্রুত বাড়তে সাহায্য করে বলে মত এই সুইস গবেষকদের।
আলু এক রকম উচ্চ শ্বেতসার সমৃদ্ধ সবজি বা শস্য। এই আলুর অতি পাতলা করে কাটা টুকরো অতিরিক্ত লবণ মাখিয়ে ডুবো তেলে অনেক ক্ষণ ভাজার পর তা সংরক্ষণ করতে উচ্চতাপমাত্রার ব্যবহার করা হয়। ফলে এর খাদ্যগুণ অনেকাংশেই নষ্ট হয়। এই পদ্ধতিতে প্যাকেটজাত আলুর চিপসে এক্রাইলামাইড জাতীয় ক্ষতিকারক রাসায়নিক যৌগ উৎপাদিত হয়। বিশ্বের একাধিক পুষ্টিবিদও এ ব্যাখ্যার সঙ্গে একমত হয়েছেন।
তা হলে এখন প্রশ্ন হলো– আলু ভাজাও এখন ক্যান্সারের ভয়ে খাওয়া যাবে না?
পুষ্টিবিদদের মতে, ঘরে তৈরি আলু ভাজা খাওয়া যেতেই পারে। তবে কোনো কিছুই মাত্রাতিরিক্ত না খাওয়াই ভালো।