সোশ্যাল মিডিয়া যে কাউকেই জনপ্রিয়তার চরম শিখরে পৌঁছিয়ে দেয়। সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় চোখ রাখলেই ভুবন বাদ্যকর থেকে শুরু করে রানু মণ্ডল, মিলন কুমার এরূপ অনেকেরই কাহিনী নজরে আসে। সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়েই আজ তারা জনপ্রিয়তায় চরম শিখরে পৌঁছেছে।
এই তালিকায় এবার নাম লেখালো হুগলির বছর ৮৩-র ‘কাঠি ভাজা দাদু’। যদিও এই বয়সে সবাই অবসর জীবনযাপন করে, কিন্তু এই দাদু এখনো জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। ঠিক যেভাবে ভুবন বদ্যকর বিশেষ গান গেয়ে বাদাম বিক্রি করতেন, এই দাদুও সেরকম এক অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করে কাঠিভাজা বিক্রি করে।
সিঙ্গুরের কুমির মারা থইপাড়ার বাসিন্দা এই দাদু। ওই অঞ্চলে ‘শ্যামলী কাঠি ভাজা’ বলেই অধিক পরিচিত তিনি। তবে শীত কালে কাঠি ভাজা এবং গরম পড়লেই আইসক্রিম বিক্রি করেন তিনি। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে এই ভাবেই ফেরী করে, নিজের জীবন যাপন করছেন।
জিনিস ফেরী করার জন্যে এক বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করেন তিনি। ভেঁপু বাঁশি বাজিয়ে প্যারোডি ছড়া কেটে কাঠি ভাজা বিক্রি করেন তিনি। তার ভেঁপুর আওয়াজ এবং প্যারোডি কাটা শুনেই সকলে বুঝে যায়, শ্যামলীর কাঠি ভাঠা এসেছে। এভাবেই স্থানীয় বাসিন্দাদের নজর কাড়েন তিনি। তার এই চমৎকার সুরের জাদুতে সকলেই বেশ আনন্দিত হয়।