Ranu Mondal: জানোয়ার, সালা অপদার্থের দল, অশ্লীল ভাষা দিয়ে ইউটিউবারদের বাঁধলেন রানু মন্ডল

রানাঘাটের রানু মন্ডলকে (Ranu Mondal) নিয়ে চর্চার শেষ নেই মানুষজনের। একসময় অতীন্দ্র নামের এক যুবকের হাত ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ভাইরাল (Viral) হয়েছিল তাঁর গান। এরপর রাতারাতি রানাঘাট স্টেশন থেকে পা রাখেন মুম্বাইয়ের স্টুডিওতে। তারপর হিমেশ রেশমিয়ার কম্পোজিশনে ‘তেরি মেরি’ গানে প্লেব্যাকও করেন। যদিও তাঁর সেই সুখ স্থায়ী হয়নি বেশিদিন। নিজের আত্মঅহংকারের জন্যও আবারও ফিরে আসেন রানাঘাটে। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে ইউটিউবারদের নিত্য নতুন ভিডিওর মূল আকর্ষণ হলেন তিনি। আর তাই আবারও তাঁকে নিয়ে ভাইরাল হল একটি ভিডিও।

সম্প্রতি ‘The Talk Of Life’ নামের একটি ইউটিউব (Youtube) চ্যানেল থেকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে রানু মণ্ডলের (Ranu Mondal) রাগ দেখে রীতিমতো হেসে লুটোপুটি খাচ্ছেন নেটিজেনরা। ভিডিওতে দেখা যায় যে কয়েকজন যুবক মিলে আসেন রানু মন্ডলের বাড়িতে। যথারীতি তাঁরা কথা বলার পাশাপাশি ভিডিও কলের মাধ্যমেও এক মহিলার সঙ্গে কথা বলান রানু দির। তিনি রানুদিকে প্রশ্ন করেন সে কি খেতে ভালোবাসে। তাহলে তাই নিয়েই তিনি যাবেন রানু দির কাছে। কিন্তু যে যুবক ফোনটি ধরে থাকেন তিনি এতটাই উঁচুতে ফোনটি ধরেন যে ভিডিও কলে থাকা ওই মহিলাকে দেখে উঠতে পারেন না রানুদি।

আর তাতেই বেজায় চোটে যান রানু মন্ডল (Ranu Mondal)। রীতিমতো রেগে গিয়ে ওই যুবককে বলেন যে মোবাইলটা নীচে করো। আরও নীচে করো। এমনকি তুই-তুকারীও করেন। এরপর ওই ভিডিও কলে থাকা মহিলা খাওয়ার আনার কথা বললে রানু বলেন ওই ইউটিউবারদের জিজ্ঞাসা করেন যে তোমরা কি আনতে পারবে। পুরুষ জাতির লজ্জা তোমরা। ধিক! এমনকি ইউটিউবার সহ সেখানে উপস্থিত সকলকে অপদার্থের দল ও জানোয়ারের দল বলেও সম্মোধন
এমনকি সে মাস্ক আনার কথা বললে কেউ এনে দেয়না বলেও জানায় রানু দি (Ranu Mondal)। এছাড়া সে অভিযোগ করেন যে তাঁর বাড়িতে কারেন্ট নেই। মোমবাতি আনার কথা বললে ১ টা এনে দেয়। এমনকি এদিনের ভিডিওতে রানু মন্ডল মানুষের চিন্তাধারা যে কত নীচ সেই কথাও বলেন। এমনকি অন্যদের বাড়িতে আলো জ্বলে কিন্তু তাঁর বাড়িতে আলো জ্বলে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রানু দি। এরপরই তাঁকে প্রশ্ন করা হয় যে সে এই ব্যাপারে কাউকে কিছু জানায় কিনা? তাতে রানুর সপাট জবাব কোন জানোয়ার আছে এই কথা শুনবে। এমনকি তপন তাঁকে মোমবাতি এনে দেয়নি বলেও জানায়। বরং লোক আসছে বলেই যে চলে যায়।

এরপর মেয়েদের সম্পর্কে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে রানু (Ranu Mondal) জানায় যে এখন কাগজে অনেক কিছু মিথ্যে বলে আবার অনেক কিছু সত্যি বলে। তারা নাকি সত্যি কম বলে আর মিথ্যে বেশি বলে। তবে, যে কেউই যে মেয়ে হতে পারেনা সেকথা স্পষ্ট করেই জানান রানু। তাঁর কথা রক্তের টান কেউ মেটাতে পারেনা। সবমিলিয়ে আবারও একবার সোশ্যালে ভাইরাল (Viral) রানু মন্ডল। এমনকি এককথায় বলা যায় যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল কন্টেন্ট হলেন রানু মন্ডল।