অতিরিক্ত সন্দেহ ডেকে আনতে পারে হার্টের অসুখ, দাবি বিশেষজ্ঞদের

সন্দেহপ্রবণতা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। স্বামী-স্ত্রী বা প্রেমিক-প্রেমিকার সম্পর্কে সন্দেহপ্রবণতা হরহামেশা দেখা যায়। এমনকি বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের রক্তের সম্পর্ক সত্বেও তাতে সন্দেহের শেষ থাকে না। আর কর্মস্থলে সহকর্মীদের প্রতি সন্দেহ থাকা তো এখন স্মার্টনেসের পর্যায়ে ভাবা হয়!

কিন্তু শঙ্কার তথ্য হলো—সন্দেহপ্রবণ এমন মানসিকতা যে কারও দ্রুত মৃত্যুর কারণ হতে পারে। গবেষকরা বলছেন—অতিরিক্ত সন্দেহপ্রবণ মনোভাব মানব মস্তিষ্কে চরম নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এতে হার্ট ও প্রেসারের ঝুঁকি অর্থাৎ হৃদরোগ এবং উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যায়। ফলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।

সম্প্রতি এক গবেষণায় এমন তথ্যই জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা। দেশটির প্রায় ২৫ হাজার মানুষের ওপর করা গবেষণায় দেখা গেছে— সন্দেহপ্রবণ মানুষের আয়ু দীর্ঘ হয় না।

ওই গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, যারা অন্য মানুষকে সন্দেহ করেন, তাদের মস্তিষ্কে সবসময় ভুল বা নেতিবাচক চিন্তা ঘুরপাক খায়। ফলে তাদের মনে সেসব চিন্তার প্রভাব পড়ে। তারা প্রায়ই মাথা ব্যথা, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগে আক্রান্ত হন।

গবেষকরা বলছেন—যে ব্যক্তি তার আশপাশের মানুষকে ক্ষমা ও মূল্যায়ন করতে জানেন, তাদের হৃদযন্ত্র দীর্ঘদিন ভালো থাকে। কিন্তু যারা অন্যদের সন্দেহ করেন এবং সহজে ক্ষমা করতে চান না, তাদের অকাল মৃত্যুর প্রবণতা দেখা গেছে।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, সমীক্ষায় অংশ নেয়া মানুষের ৫৭ ভাগই সন্দেহপ্রবণ। আর ৩৭ ভাগ সন্দেহ করেন, তবে তা খুবই কম। এছাড়া ৫ শতাংশ মানুষ কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি।

অর্থাৎ সন্দেহমুক্ত সম্পর্ক আপনার পারিবারিক ও মানসিক প্রশান্তির সঙ্গে সঙ্গে বেশিদিন বেঁচে থাকতেও সহায়তা করবে। ফলে সন্দেহপ্রবণতা পরিহার করুন, সুস্থ-সুন্দর জীবনযাপন করুন।