বর্তমান সময়ে যেসব জিনিস ছাড়া দিনযাপন মোটামুটি অসম্ভব মনে হয়, তার মধ্যে একটি হলো ফ্রিজ। খাবার দীর্ঘদিন ভালো রাখা বা সংরক্ষণ করার কাজে ফ্রিজের বিকল্প নেই। তাই প্রায় সব বাড়িতেই এখন ফ্রিজ দেখা যায়। এই ফ্রিজ কেবল ব্যবহার করলেই হবে না, নিয়মিত পরিষ্কারও করতে হবে।
ফ্রিজ পরিষ্কার করার সময় মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম। ইচ্ছেমতো পরিষ্কার করলে ফ্রিজ হয়তো অল্পদিন পরেই নষ্ট হয়ে যাবে। তবে সঠিক উপায়ে পরিষ্কার করলে ফ্রিজ দীর্ঘদিন পরেও ভালো থাকবে। ফ্রিজে যেহেতু খাবার হিমায়িত করে রাখা হয় তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই সেখানে জীবাণু জন্ম নেয়। এমনভাবে পরিষ্কার করতে হবে যেন জীবাণু দূর হয় সেইসঙ্গে ফ্রিজও ভালো থাকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
প্রথম ধাপ
ফ্রিজ পরিষ্কারের কাজ শুরুর আগে প্রথমে বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে। এরপর ফ্রিজের দরজা খুলে রাখুন। কিছুক্ষণ এভাবে খোলা থাকার কারণে বরফ গলে যাবে। তখন আর জমে থাকা বরফ সরাতে বাড়তি কষ্ট করতে হবে না। এবার ফ্রিজে থাকা সব খাবার একে একে বের করে রাখুন। এতে পরিষ্কার করা সহজ হবে। এরপর খাবারগুলো একটি ঢাকনাওয়ালা বালতিতে ঢেকে রাখুন। তাতে বরফ কম গলবে। ফ্রিজ পরিষ্কার করতে সময় লাগলেও খাবার নষ্ট হবে না।
দ্বিতীয় ধাপ
এবার খুলে নিন ফ্রিজের র্যাক, ড্রয়ার ও ছোট সেলফগুলো। এবার আলাদাভাবে হালকা গরম জলে ডিটারজেন্ট মিশিয়ে ভিজিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখার পর স্পঞ্জ দিয়ে ভালো করে ঘষে পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ধোয়া হলে শুকনো ও পরিষ্কার সুতির কাপড় দিয়ে ভালো করে মুছে রাখুন।
তৃতীয় ধাপ
একটি স্প্রে বোতলে ডিটারজেন্ট মেশানো জল ভরে নিন। এবার তা ফ্রিজের ভেতরে স্প্রে করুন। ময়লা নরম হলে স্পঞ্জ দিয়ে হালকা হাতে ঘষে নিন। এরপর ব্রাশ দিয়ে ফ্রিজের কর্নারের রাবারগুলো ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। পুরো ফ্রিজ মুছে নিন। এবার র্যাক, ড্রয়ার এবং ছোট সেলফগুলো ঠিকভাবে সেট করে রাখুন।
চতুর্থ ধাপ
পরিষ্কার করা শেষ হলেই ফ্রিজের সুইচ অন করতে যাবেন না যেন! এভাবে রেখে দিন অন্তত দুই ঘণ্টা। তারপর সুইচ অন করুন। পরিষ্কার করা শেষ হলে ফ্রিজের ভেতরে এক টুকরা কাটা লেবু রেখে দেবেন। এতে ফ্রিজ দুর্গন্ধমুক্ত থাকবে ও সেখান থেকে সতেজ গন্ধ আসবে