স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উচ্চ রক্তচাপ ম্যালিগন্যান্ট হাইপারটেনশন নামে একটি অবস্থার দিকে নিয়ে যায়। এই অবস্থায় ক্রেনিয়ামের অভ্যন্তরে চাপ গুরুতর মাত্রায় তৈরি হয়। ফলে মাথাব্যথা হয়। এই মাথাব্যথা কমানো কঠিন। এটি জ্বর বা মাইগ্রেনসহ অন্যান্য মাথাব্যথা ধরনের চেয়ে ভিন্ন।
উচ্চ রক্তচাপের কারণে চোখের রক্তনালিগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ফলে হাইপারটেনসিভ রেটিনোপ্যাথি হয়। এর সঠিক চিকিৎসা ও নিয়ন্ত্রণে না রাখলে ধীরে ধীরে চোখের আলো নিভে যেতে পারে।
ক্লান্তি
প্রায় প্রতিটি অসুস্থতার সঙ্গেই যুক্ত ক্লান্তি। তবে একটানা ক্লান্তির উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ হতে পারে। এই লক্ষণ অবহেলা করে বিপদ ডেকে আনবেন না।
উচ্চ রক্তচাপের অন্যান্য লক্ষণ কী কী?
>> নাক দিয়ে রক্ত পড়া
>> অনিয়মিত হৃদযন্ত্রের ছন্দ
>> কানে বিভিন্ন শব্দ শোনা
>> বমি বমি ভাব
>> বমি
>> বিভ্রান্তি
>> দুশ্চিন্তা
>> শরীরে পেশি কেঁপে ওঠা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপের কারণে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এটি ঘটে যখন হার্টে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় ও হার্টের পেশির কোষগুলো অক্সিজেনের অভাবে মারা যায়।
অন্যদিকে হার্ট ফেইলির ঘটে, যখন হৃদপিণ্ড পর্যাপ্ত রক্ত ও অক্সিজেন পাম্প করতে পারে না। উচ্চ রক্তচাপের কারণে মস্তিষ্কে রক্ত ও অক্সিজেন সরবরাহকারী ধমনীও ফেটে গিয়ে স্ট্রোক হতে পারে। এজন্য নিয়মিত প্রেশার মাপতে হবে। আর অবশ্যই প্রাথমিক লক্ষণ এড়িয়ে যাবেন না।