ধূমপানের কারণে প্রতি বছর প্রায় সাত মিলিয়ন মানুষ মারা যান। নিয়মিত ধূমপানের ফলে মুখ, গলা ও অগ্ন্যাশয়ে ক্যান্সারের আশঙ্কা থাকে। অথচ ধূমপানকারীরা উদ্ভূত ধোঁয়াকে ইচ্ছাকৃতভাবে মুখে টেনে সরাসরি ফুসফুসে প্রবেশ করান।
নিস্ক্রিয় ধূমপানেও অনিচ্ছাকৃত অনেকের শরীরে নিঃশ্বাসের মাধ্যমে প্রবেশ করে ক্ষতিকারক ধোঁয়া। সক্রিয় ধূমপানের ক্ষেত্রে কিছু ধোঁয়া শরীরের বাইরে বেরিয়ে গেলেও নিস্ক্রিয় ধূমপানের ক্ষেত্রে কিন্তু তার সম্ভাবনা থাকে না।
গবেষণায় উঠে এসেছে ধূমপানকারীদের তুলনায় অনিচ্ছায় ধূমপানের শিকারদের ক্ষতির পরিমাণ বেশি। অনিচ্ছায় ধূমপানকারীদের ফুসফুসে ক্যান্সার হওয়ার শঙ্কা বেশি থাকে।
তবে ধূমপান ছাড়ার কিছু আয়ুর্বেদিক টিপস রয়েছে। সেজন্য নিম্নোক্ত বিষয়গুলো অনুসরণ করতে পারেন।
১. সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছা হলে জোয়ানের সঙ্গে লেবু মিশিয়ে চিবিয়ে খেয়ে নিন।
২. সিগারেট ছাড়ার জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যাফিন, অ্যালকোহল এবং চিনি এড়িয়ে চলুন।
৩. ধূমপায়ীরা খুব বেশি করে ফল খাবেন, বিশেষ করে আপেল, গাজর, কলা, শশা।
৪. দুধ, ঘি, টাটকা খাবার এবং নিরামিষ জাতীয় খাবারের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
৫. প্রসেস করা প্যাকেটজাত খাবার খাওয়া বন্ধ করুন। পাশাপাশি ঝাল মশলা কম খান।৬. আপনার যে সব বন্ধু সিগারেট খায়, তাদের থেকে বেশ কয়েক মাস দূরে থাকার চেষ্টা করুন।
৭. যখনই আপনার সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছা করবে, তখন আপনার পছন্দের কাজটি করা শুরু করবেন, মনকে ব্যস্ত রাখবেন।