জরায়ুমুখ ক্যানসারও প্রতিরোধ করা সম্ভব, জেনেনিন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

নারীদের স্তন ক্যানসারের পরই জরা’য়ুমুখের ক্যানসারে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। এই অসুখের অন্যতম কারণ একধরনের ভাইরাসের সংক্রমণ, নাম হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস বা এইচপিভি। এ সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিন:

১. এইচপিভির শতাধিক প্রজাতি আছে। এর মধ্যে ১৩টি জরা’য়ুমুখ ক্যানসারের জন্য দায়ী।

২. এই সংক্রমণ ছোঁয়াচে। পৃথিবীতে প্রতি ১০ জন নারী-পুরুষের মধ্যে নয়জনই জীবনে অন্তত একবার হলেও এইচপিভি সংক্রমিত হন।

৩. এই ভাইরাস সংক্রমিত হলেই যে ক্যানসার হবে, তা নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তি শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দিয়ে এইচপিভির মোকাবিলা করতে পারেন।

৪. অল্প বয়সে যৌ’নকাজ, নারী-পুরুষের বহুগামিতা এই সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

৫. এই ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে যৌ’নকাজের আগে এইচিপিভির টিকা নিতে হবে।

৬. যৌ’ন সংসর্গের সময় ক’নডম বা প্রতিরোধক ব্যবহার করেও ঝুঁকি অনেকটাই কমানো যায়।

৭. টিকা নেওয়ার পরও প্রত্যেক নারীর (যৌ’নক্রিয়া শুরু হওয়ার পর) ২১ বছর বয়স থেকে তিন বছর পরপর প্যাপ স্মিয়ার টেস্ট করে জরা’য়ুমুখের ক্যানসার হয়েছে কি না জেনে নিতে হবে।

৮. প্রায় প্রতিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্ক্রিনিং পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে। এতে কোনো অস্বাভাবিকতা মিললে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।