ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়েছেন কিংবা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এমন ব্যক্তিদের কলা খেতে নিষেধ করেন অনেকেই। আবার অনেক বিশেষজ্ঞ উল্টোটাও বলছেন। তাদের দাবি, কিছু নিয়ম মেনে চললে ডায়াবেটিস রোগীরাও কলা খেতে পারেন। কোনও রোগী কলা খেতে পারবেন কি না, তার অনেকটাই নির্ভর করছে কলা কতটা পেকেছে তার উপর।
কাঁচা কলা: কাঁচা কলা ডায়াবেটিক ও প্রি-ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য সমস্যার নয়। এ কলায পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার থাকে। এটি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে উপকারী । পেটের সমস্যা কমাতে, হজমশক্তি বাড়াতেও কাঁচা কলা ভূমিকা রাখে।
পাকা কলা: পাকা কলাতে শরীরের জন্য উপকারী পটাশিয়াম ও ভিটামিন বি৬ থাকে। তবে পাকা কলাতে কিছু প্রাকৃতিক সুইটনারও থাকে। তাই এই ধরনের কলা পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।
বেশি পাকা কলা: কলা যখন বেশি পেকে যায় ও কিছুটা খয়েরি রঙের হয়ে যায় তখন তা ডায়াবিটিস রোগীদের খাওয়া উচিত নয়। এই ধরনের কলায় স্টার্চ ভেঙে একেবারে সরল শর্করাতে রূপান্তরিত হয়ে যায়। এই ধরনের সরল শর্করার বিপাক খুব সহজে হয়ে যায়। তাই এতে রক্তে শর্করার পরিমাণ দ্রুত বেড়ে যেতে পারে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।