মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে এবং সচলতা বজায় রাখতে উপকারি ফ্যাটের প্রয়োজন। ঘি-এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যাসেনশিয়াল ফ্যাট যা মস্তিষ্কের কোষের কর্মক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে ঘি হলো অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান।
খালি পেটে ঘি খেলে শরীরের অনেক উপকার পাওয়া যায়। এমনকি ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। একাধিক গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে যে, ঘি-এ থাকা ‘মিডিয়াম চেন ফ্যাটি অ্যাসিড’ শরীরে জমে থাকা ‘ফ্যাট সেল’ গলাতে সাহায্য করে।
পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিন ২ চামচ ঘি খালি পেটে খেতে পারলে শরীরে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ২-৩ চামচ ঘি ভাত বা রুটির সঙ্গে খেতে পারলে বাড়ে হজমশক্তি। খাবারের সঙ্গে ২-৩ চামচ ঘি খাওয়ার অভ্যাস পরিপাকতন্ত্রকে চর্বিমুক্ত করার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাকেও নির্মূল করতে সাহায্য করে।
খালি পেটে ঘি খেতে পারলে শরীরে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এই ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে। ফলে হার্টের সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।
ঘি-এ রয়েছে কে ২ এবং সিএলএ নামক দুটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য
করে। একই সঙ্গে এই দুটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানগুলোকে শরীর থেকে বের করে দিয়ে ক্যান্সারের আশঙ্কাও কমিয়ে দেয়।
খালি পেটে নিয়মিত নির্দিষ্ট পরিমাণে ঘি খেতে পারলে শরীরে বিশেষ কিছু উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে যা অস্থিসন্ধির
সচলতা বাড়িয়ে তোলে এবং একই সঙ্গে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটাতেও সাহায্য করে। ফলে হাড়ের যে কোনও রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
প্রতিদিন খালি পেটে ঘি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে ত্বকের কোলাজেনের উৎপাদন বেড়ে যায়। ফলে ত্বক হয়ে ওঠে সুন্দর, স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।
এ ছাড়া অ্যালার্জি প্রতিরোধে, সর্দি-কাশির কষ্ট কমাতেও ঘি অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান।