পরিণত বয়সেও নিয়মিত ব্রণের সমস্যায় ভুগছেন। যে কোনো ঋতুতেই পিছু ছাড়ছে না ব্রণ। আবার এমনও হচ্ছে, ব্রণ চলে গেলেও রয়ে যাচ্ছে কালচে দাগ।
তবে এখন প্রশ্ন হচ্ছে– পরিণত বয়সেও ব্রণ হয় কেন? প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় খাওয়া-দাওয়া, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, দূষণ সব কিছুর ওপরই নির্ভর করে ত্বকের স্বাস্থ্য। তাই ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে আপনার প্রতিদিনের জীবনযাত্রার প্রতি নজর দিতে হবে।
আসুন জেনে নিই ব্রণের সমস্যা থেকে বাঁচতে কী করবেন-
১. অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণেও ত্বকে ব্রণ হতে পারে। তাই মানসিক চাপ কমিয়ে প্রতিদিন অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুমোতে হবে।
২. কাজের প্রয়োজনে হয়তো ফোন দিয়ে কথা বলে যাচ্ছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। ফোনে কথা বলার সময় ত্বকে চাপ পড়ে। ফোনে ও হাতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া, যা খালি চোখে দেখা যায় না। এদের কারণেও ত্বকে ব্রণ হয়ে থাকে। তাই ফোনে কথা বলার সময় ব্যবহার করুন হেডফোন।
৩. নিয়মিত মেকআপ করলে ব্রাশ ও স্পঞ্জ পরিষ্কার করুন। মেকআপ সামগ্রী বারবার ব্যবহারের ফলে এতে জন্মায় প্রচুর পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া। এসব ব্যাকটেরিয়া থেকেও হতে পারে ব্রণ। তাই মেকআপ সামগ্রী সব সময়ে পরিষ্কার রাখুন।
৪. ঘন ঘন মুখ ধোয়ার কারণে ত্বকে ব্রণ হতে পারে। এতে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হয়ে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। তাতেও কিন্তু বাড়তে পারে অ্যাকনের সমস্যা।
৫. মেনোপজ, মাসিক ঋতুচক্রের আগে ও পরেও অনেকের ব্রণ হয়। যারা নিয়মিত জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য ওষুধ খান, তাদেরও এ সমস্যা হতে পারে। এসব বিষয় নিয়ে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন।
৬. ত্বক ভালো রাখার জন্য ডায়েটে বাদ দিন প্রসেসড সুগারযুক্ত খাবার। প্রসেসড সুগার রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি টেস্টোস্টেরনের মাত্রাও বাড়িয়ে দেয়। হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলে ডিপ সিস্টিক অ্যাকনে দেখা দেয় মুখের ত্বকে, যা বেশ যন্ত্রণাদায়ক, তেমনই দাগ রেখে যায় অনেক সময়।
৭. দুধের মতো ডিমও অনেক সময় ত্বকের সমস্যার কারণ হতে পারে। ডিম থেকে অ্যাকনে, অ্যাকজিমা বা সোরিয়াসিসের মতো সমস্যা দেখা যায়।
৮. প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। পানি পান ত্বক ভালো রাখে।
৯. ব্রণ কখনই খুঁটবেন না, তাতে ইনফেকশন বাড়বে। টি-ট্রি অয়েল ডাইলিউট করে ব্রণের ওপর লাগালে সুরাহা হতে পারে। আর অ্যাপেল সিডার ভিনিগার ব্যবহার করতে পারেন।