ওজন কমানের জন্য প্রতিনিয়তই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, অনেকেই। অনেক সময়ই দেখা যায় খাবার নিয়ন্ত্রণ, ব্যায়াম সহ অনেক নিয়ম মানার পরও ওজন কমে না। কয়েকটি কারণে ব্যর্থ হচ্ছে তাদের সকল প্রচেষ্টা। তাই তখন খুঁজে দেখতে হবে যে আসলেই কি কারণে ওজন কমছেনা। আসুন দেখে নেওয়া যাক, কি কারণগুলি রয়েছে।
মিষ্টির প্রতি আসক্তি- অনেকেই মিষ্টি খেতে খুবই ভালোবাসেন। মিষ্টি জাতীয় খাবার দেখলেই নিজেকে সামলাতে পারেন না। এটা খুবই খারাপ অভ্যাস। কেনোনা চিনিযুক্ত খাবার দেহের মেদ বাড়ায়। তাই ওজন কমাতে হলে অবশ্যই চিনিযুক্ত খাবার থেকে দুরে থাকতে হবে।
অনেক রাতে করে খাওয়া- অনেকেই রাতে দেরি করে খান। আর খাওয়ার পর পরই ঘুমাতে যান এতে করে খাবার হজম হবার সময় পায়না। যা দেহে ফ্যাট হিসেবে জমা হয়।
কম পরিমানে জল খাওয়া- দেহের প্রয়োজন অনুযায়ী যদি জল পান না করেন তাহলে ওজন না কমে বৃদ্ধি পাবে। দৈনিক ১০ থেকে ১২ গ্লাস জল পান করুণ। কারণ জল দেহের বিপাকক্রিয়ার গতিই শুধু বৃদ্ধি করে না সেই সাথে এটা পাকস্থলীতে খাবার ধারণের জায়গা কমিয়ে দেয়। যার ফলে খাবার খাওয়া কম হয় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
অনিয়মিত ঘুম- মেদ হ্রাস বৃদ্ধিতে ঘুম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিটি মানুষেরই সারাদিনে কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। কম ঘুম বা অত্যাধিক ঘুম দুইটাই মেদ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। তাই রাত জাগার অভ্যাস ত্যাগ করে দৈনিক ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানোর অভ্যাস গড়া উচিত। আর সঠিক সময়ে না ঘুমালে সেটা স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে।
মানসিক চাপ- মানসিক চাপে থাকলে আমাদের দেহে করটিসল হরমোন বেশি নির্গত হয়। এটি ওজন বাড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। এছাড়া এসময় আমাদেরকে চিনি যু্ক্ত খাবারগুলো বেশি আকর্ষণ করে। যা মেদ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।
খাদ্যের পরিমাণ- অনিয়ন্ত্রীত খাদ্যাভাস ওজন না কমার অন্যতম একটি কারণ। অনেকেই আছে যারা নিজের খাদ্য গ্রহণের ইচ্ছাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। অর্থাৎ তারা প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন। এই খারাপ অভ্যাস টি থাকলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা কোন ভাবেই সম্ভব না।
অলস জীবনযাত্রা- অলস জীবনযাত্রার ফলে খাবার থেকে দেহ যে পরিমানা ক্যালোরি গ্রহণ করে তার তুলনায় ক্যালোরি খরচ হয় কম। ফলে দেহের ওজন বেড়ে যায়। এধরনের সমস্যা দুর করার