হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে ৩টি খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরী, দেখেনিন

বর্তমানে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তবুও হৃদযন্ত্র কতটা বিপজ্জনক অবস্থায় আছে তা তিন মাস অন্তর খতিয়ে দেখার প্রচলন এখনও সব ঘরে আসেনি। চল নেই প্রয়োজনীয় চেক আপ কয়েক মাস অন্তর করিয়ে রাখার। এসব সচেতনতা যেমন নেই, তেমনইহৃদরোগ ঠেকাতে গ্রহণ করা যত্নেও থেকে যায় অনেক ঘাটতি। ভারতীয় হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ প্রকাশ হাজরার মতে, খাবারের মধ্যে দিয়ে শরীরে যে প্রতিরোধ ক্ষমতা আমরা অর্জন করি, তাকে অবহেলা করা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। বিশেষ করে হার্টের যত্নে খাবারদাবার নিয়ে সবসময় সচেতন থাকতে হয়। খুব বেশি তেল-মশলা যেমন এই অসুখে বারণ, তেমনই হার্টের কার্যকারিতা বাড়াতে ও হৃদস্পন্দন ঠিক রাখতে কিছু কিছু খাবার অবশ্যই নিত্য ডায়েটে রাখা উচিত। তবে এসব খাবারের পাশে শরীরচর্চা, হাঁটাহাঁটিও করতে হবে। খাবার ও শরীরচর্চা একে অন্যের পরিপূরক।

কোন কোন খাবার রোজ পাতে রাখলে হার্টের আর একটু বেশি খেয়াল রাখা যায় জানেন? চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক-

1. ডিম: ‘হার্ট’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্র অনুযায়ী, প্রতিদিন ডিম খেলে শরীরে কেবলমাত্র প্রোটিনের জোগান আসে তা-ই নয়, কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ কমাতেও এই খাবারের ভূমিকা অসীম। হার্টে রক্ত চলাচলের ভারসাম্য বজায় রাখতে ও হৃদস্পন্দনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ সাহায্য করে ডিমের সাদা অংশ। কুসুম খেলে কোলেস্টেরল বাড়ার শঙ্কাও আধুনিক গবেষণা মানে না। বরং কুসুম খারাপ কোলেস্টেরলকে শরীরের উপযোগী কোলেস্টেরলে পরিবর্তিত করে বলেই মত বেশির ভাগ চিকিৎসকদের। তাই অ্যালার্জি জাতীয় সমস্যা না থাকলে ডিম রাখুন পাতে।

2. ব্লু বেরি: স্মুদি বা ফ্রুট সালাদের স্বাদ বাড়াতে বেরি জাতীয় ফলকে পাতে রাখেন? তাহলে এবার তাদের আরো বেশি করে খান হার্টের যত্ন নেবেন বলে। ‘আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন’-এর গবেষকদের মতে, ১৫০ গ্রাম ব্লু বেরি হার্টের ভাস্কুলার ফাংশনের উন্নতিসাধন করে। এর মধ্যে থাকা অ্যান্থোসিয়ানিন নামক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হার্টের কার্যকারিতা বাড়িয়ে কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজকে দূরে রাখে।

3. পালং: শরীরের উপকারে সবুজ শাকসব্জি পাতে রাখতে বলেন প্রায় সব চিকিৎসকই। হার্টের যত্নে শীর্ষেই রয়েছে পালং শাক। ভিটামিন কে যুক্ত এই শাক ধমনীকে সুরক্ষিত রাখে ও রক্তের চাপ কম রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। চোখের কার্যক্ষমতা বাড়াতেও এই শাক বিশেষ উপযোগী।