থাইরয়েডে ভুগছেন? তাই ফেভারিট হলেও এড়িয়ে যাচ্ছেন সয়াবিন? মিথ ভাঙুন। মেনুতে রাখুন সয়াবিন। কোনও সমস্যা নেই। ভিটামিন-প্রোটিন-পুষ্টিগুণের এই ভাণ্ডার, সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি। তবে থাইরয়েডে যাঁরা ভুগছেন, এব্যাপারে তাঁদের মুখ ভার। খুব পছন্দ, তবু ধারেকাছে ঘেঁষেন না সয়াবিনের। খাওয়া নাকি বারণ! স্বাস্থ্যের ক্ষতি! ভাঙুন এই প্রচলিত ধারণা। বেরিয়ে আসুন। পাতে নিন সয়াবিন। ডাক্তাররাই বলছেন, এতে কোনো ক্ষতি নেই।
প্রতি ১০০ গ্রাম সয়াবিনে প্রোটিনের পরিমাণ ৪৩ গ্রাম। কার্বোহাইড্রেট থাকে ৩০ গ্রাম। ফ্যাট ২০ গ্রাম। আক্ষরিক অর্থেই সয়াবিনের হাজার গুণ। চলুন জেনে নেই সয়াবিনের কিছু গুণাগুণ-
১. সয়াবিনে প্রচুর পটাসিয়াম থাকায় হাই ব্লাড প্রেশারের রোগীদের ক্ষেত্রে উপকারী।
২. সয়াবিন হার্টের পক্ষে খুবই ভাল, এটি হার্ট অ্যাটাক কিংবা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
৩. সয়াবিনে থাকা স্বাস্থ্যসম্মত আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
৪. ডিম, মাংস, দুগ্ধজাত দ্রব্যের মতো প্রাণিজ প্রোটিনের সমতুল্য সয়াবিন।
৫. ডালের চেয়েও বেশি প্রোটিন রয়েছে সয়াবিনে।
৬. সয়াবিন ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের খনি, যা হার্ট ও লিভারের সক্রিয়তা বজায় রাখতে সহায়ক।
৭. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ সয়াবিন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৮. সয়াবিনে থাকা প্রোটিন সেরিব্রাল কর্টেক্সের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে, যা মানুষের কাজের ক্ষমতা বাড়ায়।
৯. সয়াবিনে প্রচুর লেসিথিন থাকে যা মস্তিষ্ক গঠনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
১০. বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের ডায়েটে সয়াবিন রাখা জরুরি, পরবর্তীকালে ব্রেস্ট ক্যানসারের সম্ভাবনা কমে।
সত্যিই সয়াবিনের জুড়ি মেলা ভার। রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ার ক্ষেত্রেও সয়াবিন খাওয়া উপকারী। সয়াবিন বিভিন্ন ধরনের বিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে যা ঘুমের সমস্যা বা ইনসমনিয়া দূর করতে সক্ষম। সয়াবিনে প্রচুর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও ফোলেট রয়েছে যা অস্টিওআর্থ্রাইটিস দূর করতে সাহায্য করে।
সয়াবিনে থাকা ফাইবার কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক। গর্ভবতী মহিলাদের জন্য সয়াবিন বিশেষ উপকারী। টাইপ টু ডায়াবেটিসের হাত থেকে মুক্তির জন্য সয়াবিন সহায়ক।