টিকিটিকির উৎপাতে অতিষ্ঠ? তাড়াতে এই ঘরোয়া উপায়গুলি মেনেচলুন

ডিম রান্না করা শুরু করতে না করতেই আমরা ডিমের খোসা ডাস্টবিনে ফেলার জন্য অস্থির হয়ে যাই। কিন্তু এই ডিমের খোসার কিছু আশ্চর্যজনক ব্যবহার রয়েছে।

যা জানলে আপনি নিজেও এই খোসা জমিয়ে রাখার চেষ্টায় ব্যস্ত হয়ে পড়বেন। সেরকম কিছু ব্যবহার নিম্নে আলোচনা করা হল-

১. প্রথমে গরম জল দিয়ে ডিমের খোসা ভাল করে ধুয়ে নিন। এরপর তা রোঁদে শুকিয়ে নিন। এবার পাউডারের মত গুঁড়া করে নিন এবং একটি ভাল পাত্রে রেখে দিন। খেয়াল রাখবেন এর ভেতর যেন কোন বাতাস যাওয়া-আসা করতে না পারে। এটি ক্যালসিয়াম পাউডার হিসেবে আপনি গ্রহণ করতে পারবেন।

আপনার যদি এই খাবারে কোন সন্দেহ থাকে তাহলে আপনার পোষা প্রাণীর খাবারে এই গুঁড়া যুক্ত করে দেখতে পারেন। এটি শরীরের প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম পূরণ করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

২. টিকটিকি ও বিভিন্ন ধরণের প্রাণীর ডিম ও বিষ্ঠা থেকে রক্ষা পাবার জন্য ডিমের খোসা ব্যবহার করতে পারেন। যে সকল স্থানে টিকটিকির প্রকোপ বেশি সে সকল স্থানে ডিমের খোসা ছিটিয়ে রাখুন। তাহলে এ সকল প্রাণী থেকে রক্ষা পাবেন।

৩. এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-বায়োটিক হিসেবেও কাজ করে। কোন স্থানে কেটে গেলে ডিমের খোসা মলম হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

৪. ডিমের সাদা অংশ নাকে লাগিয়ে রেখে ব্ল্যাক হেডস দূর করা যায়। তেমনি নখ দিয়ে নাকে না খুটে আপনি ডিমের খোসা ব্যবহার করতে পারেন। এর ধারালো কোণ সহজেই ব্ল্যাক হেডস বের করে আনতে পারে।

৫. শামুক ও পিঁপড়ার প্রকোপ থেকে আপনার বাগানকে রক্ষা করার জন্য ডিমের খোসা গুঁড়া করে ছিটিয়ে রাখতে পারেন। এতে আপনার বাগানের গাছপালা পোকামাকড় থেকে রক্ষা পাবে।