বেশি বয়সেও যদি সুস্থ থাকতে চান? মেনে চলুন এই নিয়মাবলী

ফিট থাকার ইচ্ছা কম-বেশি প্রত্যেকেরই থাকে। কারণ সুস্থতা সবারই কাম্য। কিন্তু এই ব্যস্ত জীবনে নিজের জন্য কিছুটা সময় বের করে নেয়া অনেকের জন্যই মুশকিল। তারপরও অনেকেই নিজেদের সুবিধ মতো সময় বের করেন এবং শরীরচর্চার জন্য জিমে যান অথবা বাসায় ব্যায়াম করেন।

তবে কখনো কী ভেবে দেখেছেন, যখন তখন শরীরচর্চা করা আপনার জন্য সঠিক কিনা? ভারতের জীবনধারা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যায়াম করারও রয়েছে কিছু সঠিক দিক নির্দেশনা। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক ব্যায়ামের সেসব দিক নির্দেশনা সম্পর্কে-

>> খালি পেটে কখনো ব্যায়াম করা যাবে না। তাই খাবারের কয়েক ঘণ্টা পর ব্যায়াম করতে হবে। তবে ঘুম থেকে ওঠার আধা ঘণ্টা পর হালকা জগিং বা মর্নিং ওয়াক করা যেতে পারে।

>> ব্যায়ামের জন্যে বিকেলের সময়টা সবচেয়ে ভালো। দীর্ঘক্ষণ শরীরচর্চা করতে চাইলে ঘুম থেকে ওঠার ৬ থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে যেকোনো একটি সময় বেছে নিন।

>> অনেকে সন্ধ্যার পর ব্যায়ামের সময় পান। সেক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন শরীরে ক্লান্তিবোধ না থাকে।

>> যোগ ব্যায়ামের জন্য সন্ধ্যা উপযুক্ত সময়। এ সময় ট্রেডমিল বা সাইক্লিংও করা যেতে পারে।

>> শারীরিক সক্ষমতা ও বয়স অনুযায়ী ব্যায়াম করা উচিত। পিঠে বা কোমরে ব্যথা কিংবা শ্বাসকষ্ট থাকলে ব্যায়াম করার ক্ষেত্রে ডাক্তার কিংবা শরীরচর্চা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। গর্ভকালীন সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যায়াম করা উচিত নয়।

>> যেকোনো ধরনের শরীরচর্চা বা ডায়েট পরিকল্পনার জন্য চিকিৎসক এবং শরীরচর্চা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে নেয়া উচিত।