ই-সিগারেট ব্যবহারের কারণে ফুসফুসের ক্লিনিং সিস্টেম নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া দুরারোগ্য ব্যাধিরও শঙ্কা আছে। সম্প্রতি ‘থোর্যাক্স’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক বলছেন, ই-সিগারেটের নিকোটিন দ্রবণ বাষ্পীভবনের পর তা বেশ ক্ষতিকর হয়ে ওঠে, যা ফুসফুসের ক্লিনিং সিস্টেমে ব্যাঘাতের পাশাপাশি দুরারোগ্য রোগের কারণ হয়ে ওঠে। যদিও গতানুগতিক তামাকজাত পণ্যের চেয়ে ই-সিগারেটের ক্ষতির পরিমাণ অনেক কম।
গবেষণা প্রতিবেদনের মূল লেখক অধ্যাপক ডেভিড থিকেট বলেন, ‘ক্যান্সারের সঙ্গে তুলনা করলে ই-সিগারেট ব্যবহারকারীরা অনেকটা নিরাপদ। কিন্তু আপনি যদি ২০-২৫ বছর ধরে এ ধরনের সিগারেট ব্যবহার করেন, সে ক্ষেত্রে দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি না, ই-সিগারেট গতানুগতিক সিগারেটের চেয়ে ক্ষতিকর। কিন্তু তা যাতে নিরাপদ হয়, সেদিকে আমাদের নজর দিতে হবে।’
গবেষকরা জানান, সিগারেট টানার সময় যে বাষ্পীভবন হয়, তা আসলে নিকোটিন দ্রবণকে বেশি ক্ষতিকর রূপ দেয়। ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষাকালে বিষয়টি ধরা পড়েছে। ফলে গতানুগতিক তামাকপণ্যের চেয়ে ই-সিগারেটকে পুরোপুরি নিরাপদ বলা চলে না।
লন্ডনের কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জনাথন গ্রিগ বলেন, ‘এই গবেষণা অতীতের সব গবেষণাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। কারণ আগে বলা হতো, ই-সিগারেটে খুব সামান্য পরিমাণ ক্ষতি হয়।