সকালে ঘুম থেকে উঠে দুপুরে খাবার খাওয়ার আগ পর্যন্ত শরীরে এনার্জি থাকলেও, এরপর থেকে তা কমতে থাকে। অর্থাৎ দুপুরে খাবার খাওয়ার পর থেকে শুধু ঘুম ঘুম পেতে থাকে। যা খুবই অস্বস্তিকর। কারণ বাড়িতে ঘুমের সুযোগ থাকলেও অফিসে সেই সুযোগ নেই। এতে কাজের ক্ষতি হয়, সেই সঙ্গে শরীরও খারাপ লাগে।
অফিসে এই ঘুম ঘুম ভাব কাটাতে কফি কিংবা চা খেয়ে, হাঁটাহাঁটি করে, চোখে জল দিয়ে কিংবা কখনো ডেস্কে মাথা গুঁজে অল্প একটু ঘুমিয়ে নিয়ে ঘুমটা তাড়াতে হয়। এই ঘুম ঘুম লাগাটা চলতে থাকে দীর্ঘ সময় ধরে। বেশিরভাগ সময় শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তিবোধ থেকে অতিরিক্ত ঘুম পেতে পারে। এছাড়াও আরো কিছু কারণ রয়েছে যে কারণে সব সময় ঘুম ঘুম লাগতে পারে। চলুন জেনে নেয়া যাক তেমন পাঁচটি কারণ-
অসুস্থতার কারণে
বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষই নানা ধরনের লাইফস্টাইল ডিজিজের শিকার। এসব রোগের কারণে ক্লান্তি দেখা দেয় এবং অতিরিক্ত ঘুম পেতে থাকে। মূলত এই অসুখগুলো শরীরকে ভেতর থেকে নড়বড়ে করে দেয়। ফলে ঘুমও আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকে না।
ঘুমের সময় ঠিক না রাখা
বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষেরই ঘুম পর্যাপ্ত হয় না। এটি সব সময় ঘুম পাওয়ার অন্যতম কারণ। এছাড়াও আরেকটি কারণ হতে পারে সঠিক সময়ে না ঘুমানো। তাই ঘুমের রুটিন ঠিক রাখা অর্থাৎ সঠিক সময়ে ঘুমানো এবং সঠিক সময়ে ঘুম থেকে ওঠা খুব জরুরি। পর্যাপ্ত ঘুম আপনার প্রতিদিনের কাজগুলোকে আরও গতিশীল করবে।
অবসাদও হতে পারে কারণ
নানা কারণেই দেখা দিতে পারে অবসাদ। হতে পারে তা টাকা-পয়সা নিয়ে চিন্তা, কারো কাছ থেকে পাওয়া মানসিক আঘাত ইত্যাদি। শুধু শরীর খারাপ হলেই যে অতিরিক্ত ঘুম পায় তা নয়, মানসিক চাপও অতিরিক্ত ঘুম নিয়ে আসতে পারে। অনেকে অনেক ধরনের সমস্যার সমাধান হিসেবে ঘুমকে বেছে নেন।
শরীরের ধরন
আয়ুর্বেদ অনুযায়ী শরীরের তিন প্রকার দোষ হতে পারে- বাতা, পিত্ত এবং কফ। বাত মানে হলো যাদের শরীরে গ্যাসের পরিমাণ বেশি, পিত্ত মানে হলো যাদের শরীর খুব বেশি গরম থাকে এবং কফ মানে হলো যাদের শরীরে জলের পরিমাণ বেশি। এর মধ্যে যাদের শরীরে জলের পরিমাণ বেশি তাদের মধ্যে সব সময়ই ক্লান্তিবোধ লেগে থাকে।
ভারী খাবার
ভারী খাবার খেলে খাওয়ার পর ঘুম ঘুম লাগতে পারে। খাবার হজম হতে বেশ খানিকটা সময় লাগে, আবার সব খাবার হজম হতে একইরকম সময় নেয় না। এদিকে বেশি তেল-মশলাযুক্ত খাবার, হাই প্রোটিন খাবার হজম হতে বেশি সময় নেয়। খাবারে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি থাকলেও ঘুম পেতে পারে। পেট খালি রেখে খাওয়ার দরকার নেই। তবে অতিরিক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো।