ভাল ফল পেতে ৩-৪ মাস অন্তর টুথব্রাশ বদলে ফেলা উচিত, এ কথা আমরা প্রায় সবাই জানি। কিন্তু টুথব্রাশের মতোই নিত্য ব্যবহার্য ও গৃহস্থলির কাজে লাগে এমন অনেক কিছুই একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর বদলে ফেলা জরুরি।
আসুন এ বিষয়ে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক…
১. গামছা বা তোয়ালে আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় একটি সামগ্রি। স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে প্রতিদিন ব্যবহারের পর গামছা বা তোয়ালে ভাল করে ধুয়ে নেওয়া উচিত। আর গামছা বা তোয়ালে প্রতি ৬ মাস অন্তর বদলে ফেলা উচিত। তবে তোয়ালে ১ বছরের বেশি নেওয়া উচিত নয়।
২. স্নানের সময় গায়ে সাবান মাখার কাজে ব্যবহৃত স্পঞ্জ বা লুফা প্রতি ৩-৪ মাস অন্তর বদলে ফেলা জরুরি। স্নানের সময় ব্যবহারের পর এগুলো ভাল করে ধুয়ে রাখুন।
৩. ঘরে পরার স্লিপার বা চটি প্রতি ৬ মাস অন্তর বদলে ফেলা উচিত। মনে রাখবেন, খুব পাতলা বা শক্ত চটি আমাদের পায়ের জন্য ক্ষতিকর।
৪. আরামদায়ক ঘুম অনেকটাই নির্ভর করে বিছানা, বালিশ এবং ঘুমানোর পরিবেশের উপর। বিশেষ করে বালিশ ঠিকঠাক না হলে অনেকেই ঘুমোতে পারেন না ঠিক মতো। তাই বালিশটা হওয়া চাই একদম ‘পারফেক্ট’! বছরের পর বছর একই বালিশ ব্যবহার করবেন না। প্রতি ২-৩ বছর পর পর বালিশ বদলে ফেলুন বা বালিশের তুলো বদলে ফেলুন। তাতে আরামদায়ক ঘুম হবে।
৫. ভাল ফল পেতে ৩-৪ মাস অন্তর টুথব্রাশ বদলে ফেলুন।
৬. শিশুদের ব্যবহৃত ল্যাটেক্স পেসিফায়ার বা চুশি কখনওই ৩-৪ সপ্তাহের বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়। প্রতিদিন অন্তত ২ বার ল্যাটেক্স পেসিফায়ার গরম জলে ভাল করে ধুয়ে নেওয়া জরুরি।
৭. বেশি দিন থাকলে রান্নার মশলাপাতির স্বাদ বা গন্ধ নষ্ট হয়ে যায়। অনেক সময় তাতে ছত্রাকও জন্মে যায়। তাই বিশেষ করে গুঁড়া মশলা ৬ মাসের বেশি না রাখাই ভাল।
৮. পারফিউমের বোতলের ঢাকনা যদি খুলে না ফেলা হয়, সে ক্ষেত্রে সেটি ৩ বছর পর্যন্ত ঠিক থাকে। আর বোতলের ঢাকনা খুলে ফেলার পর বছর দুয়েক পর্যন্ত ভাল থাকে। তাই প্রতি দুই থেকে তিন বছর পর পর পারফিউম বদলে ফেলাই ভাল।