গ্যাস অম্বলের সমস্যায় ভরসা রাখুন ডিটক্স ডায়েটে, ফল পাবেন হাতেনাতে

উৎসব-পার্বণে বিরিয়ানি, পোলাও, মাংস জমিয়ে খাওয়া হয়। আবার বেড়াতে বের হলে এগরোল, ফুচকা, তন্দুরি ও মুখরোচক ভাজা খাবার আনন্দের সঙ্গে পছন্দ করা হয়। যার ফলে ফ্যাটও শরীরে জমিয়ে বসতে থাকে। আর এর সঙ্গে পেটের গোলমাল, গ্যাস, অম্বলের সমস্যা তো থাকছেই। শরীরের এসব সমস্যা কাটিয়ে তুলতে ‘ডিটক্স’ ডায়েট খুবই কার্যকর।

হজমে সহায়ক এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে বিশ্রাম দিয়ে শরীরের টক্সিন বার করাই ডিটক্স ডায়েটের মূল লক্ষ্য। জল, ফলের রস জাতীয় খাবারই বেশি থাকে এই ডায়েটে। বেশি পরিমাণে জল খেলে এমনিতেই শরীরের বর্জ্য সহজে বেরিয়ে যায়। তবে অনেকেই ডিটক্স ডায়েটে তিন-চার ঘণ্টা ফাস্টিং করেন।

ডায়াটিশিয়ানদের মতে, না খেয়ে থাকাটা একদম ঠিক নয়। বরং অল্প ফলের রস, তরিতরকারিতে ভরসা রাখা যেতে পারে। শর্করা ও ফ্যাটজাতীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করে স্বাস্থ্যকর খাবার পরিমাণে বাড়াতে হবে। তিন থেকে পাঁচ দিনের মতো এই ডায়েট ফলো করলেই ফল পাবেন।

তবে টানা বেশি দিন এই ডায়েট শরীরের জন্য ঠিক নয়। তাই ক’দিন ধরে খুব বেশি পরিমাণে বাইরে খাওয়া-দাওয়া হয়ে থাকলে ক’দিনের জন্য ডিটক্স ডায়েটের শরণাপন্ন হতে পারেন। এবার জেনে নিন ডিটক্স ডায়েটের বিস্তারিত-

• রাতে এক লিটার জলে ২ চা চামচ আদা কুচি, একটি শসা কুচি, ২ ইঞ্চি দারচিনি, একটি পাতিলেবুর রস ও অল্প মধু মিশিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে উঠে এই জল ছেঁকে আরও তিন লিটার জল মিশিয়ে সারাদিনের জল তৈরি রাখুন। এই জল পুরো দিন খেলে উপকার পাবেন।

• আপেল, পেয়ারা, নাশপাতি, তরমুজ, বেদানা, আনারস, মুসাম্বি জাতীয় ফল খান। একটা করে ডাব খেতে পারেন প্রতিদিন।

• তরকারির মধ্যে লাউ, গাজর, পেঁপে রাখবেন। লাউয়ের রস কিন্তু খুব ভাল ডিটক্স। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে লাউয়ের রসও খেতে পারেন। একটি পাত্রে লাউ কুরিয়ে তা চেপে রস করে নিন। এর মধ্যে পাতিলেবুর রস ও এক চিমটি লবণ মিশিয়ে খেয়ে নিন। পালংশাক, লেটুস পাতা রাখতে পারেন ডায়েটে।

• এই ডায়েটে কার্বস কমাতে হবে। কিন্তু পেটও তো ভরাতে হবে। অল্প পরিমাণে রুটি খেতে পারেন। অথবা ডালের সুপ, ভেজিটেবল সুপও খেতে পারেন। তবে কর্নফ্লাওয়ার মেশানো চলবে না। খাওয়ার শেষে শসা, টমেটো ও গাজর দিয়ে সালাদ বানিয়ে খান। বিকেলের দিকে ফ্ল্যাক্স সিড্‌স, সানফ্লাওয়ার সিড্‌স খেতে পারেন। ডিটক্স ডায়েটে শরীর দুর্বল লাগলে এসব খেলে এনার্জি ফিরে পাবেন।

• প্রত্যেক দিন তিন থেকে চার লিটার জল অবশ্যই খেতে হবে। ফলের রস খেলে সেটাও জলের মধ্যেই ধরতে পারেন। তবে মনে রাখবেন, এই জলই কিন্তু শরীরের বর্জ্য ধুয়ে বার করে আনে।

খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে ব্যায়াম করে শরীরকে সচল রাখতে হবে। তাহলে ফল পাবেন দ্রুত।